খাপ পঞ্চায়েতের কোপ, ঋণ শোধ করতে নিলামে মেয়েরা

নিউজ ডেস্ক : একবিংশ শতাব্দীতেও মধ্যযুগীয় নীতির কোপে রাজস্থানের মেয়েরা। ১৩-১৪ শতকের রানী পদ্মাবতী মৃত্যবরণ করে সম্ভ্রম রক্ষা করতে পারলেও, বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে খাপ পঞ্চায়েতের কারণে সম্মান রক্ষায় ব্যর্থ আজকের পদ্মাবতীরা। পদ্মাবতীর রাজ্যেই ঋণ শোধ করতে নিলামে তোলা হচ্ছে বাড়ির মেয়েদের। এমনই অভিযোগ জাতীয় মহিলা কমিশনের। এরপরই ঘটনার তদন্তে নেমে রাজস্থানে পৌঁছাল কমিশনের একটি দল।

জাতীয় মহিলা কমিশন সূত্রে খবর, প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে ঋণ দেওয়ার নাম করে চলছে মেয়ে কেনাবেচা। ঋণ শোধ না করতে পারলেই, বাড়ির মেয়েদের নিলামে তোলা হয়। যিনি কেনেন, তিনি সরকারি স্ট্যাম্প পেপারে দলিল-সহ পান মহিলার ওপর মালিকানা। দীর্ঘদিন ধরে এই ঘটনা চললেও গত ২৬ অক্টোবর প্রকাশ্যে আসে বিষয়টি। তারপরই রিপোর্ট তলব করে জাতীয় মহিলা কমিশন।

সূত্রের খবর, রাজস্থানের ভিলওয়ারা গ্রামে দুই নাবালিকাকে ঋণ শোধের জন্য নিলামে তোলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিপদে পড়েন নির্যাতিতাদের মায়েরা। এরপরই খাপ পঞ্চায়েতের নির্দেশে ধর্ষণ করানো হয় নাবালিকাদের মায়েদেরও। এরপরই জাতীয় মহিলা কমিশনের পাশাপাশি রাজস্থানের রাজ্য কমিশন সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেয়। যদিও রাজস্থানের মন্ত্রী প্রতাপ খাচারিয়াবাস ঘটনাটি অস্বীকার করে জানান, ‘কোনও প্রমাণ নেই। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ। সত্যিই এই ঘটনা ঘটে থাকলে, তখন দেখা যাবে।’

আরও পড়ুন : রাজ্য বিজেপির নেতাদের একাংশের ওপর ক্ষোভ উগরে দিলেন সায়ন্তন

জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা জানিয়েছেন, ‘বিভিন্ন গ্রাম এবং বসতিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে খবর আসছিল। এমনও শুনছিলাম স্ট্যাম্প পেপারে দলিল সই করে নিলামে ওঠা মেয়েদের কিনছেন ক্রেতারা। তার পর তাদের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যৌন পেশায় কাজে লাগানো হচ্ছে।’ এছাড়াও দুই সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে রাজস্থান পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলকেও চিঠি লিখে জানানো হয়েছে, অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করে দোষীদের শীঘ্রই গ্রেফতার করতে হবে।

আরও পড়ুন : সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তান-চিনের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন জয়শঙ্কর