নিউজ ডেস্ক: একুশের ভোটের মুখে বাংলায় বামেরা শ্লোগান তুলেছিল, ‘No Vote To BJP’। সেই শ্লোগান ধরে লাগাতার প্রচার করা হয়েছিল নির্বাচনী সভা থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। অস্বীকার করার উপায় নেই যে সেই শ্লোগান বামেরা অপেক্ষা তৃণমূলের নেতারা বেশি ব্যবহার করেছিল। সেই ভোটের ফলাফল কার্যত চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ওই প্রচার ঠিক কতটা শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল। কিছুদিন আগেই ভোট হয়ে গিয়েছে কর্ণাটকের মাটিতেও। সেখানেও বহুল ভাবে ‘No Vote To BJP’ শ্লোগান ব্যবহার করেছে কংগ্রেস। আবার সেই নির্বাচনের আগেই বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্ণাটকের মানুষের উদ্দেশ্যেও ওই শ্লোগান দিয়ে আর্জি রেখেছিলেন সেখানকার মানুষ যেন বিজেপিকে ভোট না দেন। কর্ণাটকের ভোট রেজাল্ট বলে দিচ্ছে সেখানেও সুনামি তুলেছিল ওই শ্লোগান। এবার সেই শ্লোগান শোনা যেতে পারে আবারও বাংলার মাটিতে পঞ্চায়েত ও ২৪এর ভোটের প্রাক্কালে। তবে সেই শ্লোগান বাম, কংগ্রেস বা তৃণমূলের নেতারা দেবেন না। দেবেন বিজেপিরই নেতারা।
বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল যত না তুঙ্গে উঠেছে তার চেয়েও বেশি তুঙ্গে উঠেছে বিক্ষুব্ধ নেতাদের বসে যাওয়ার ঘটনা। মূলত তাঁরা প্রায় সকলেই দলের আদি নেতা। এরাই এবার বাংলার বুকে ‘No Vote To BJP’ শ্লোগান তুলতে চলেছেন বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু দলের বিরুদ্ধেই কেন এই শ্লোগান দিতে চাইছেন তাঁরা? বিক্ষুব্ধ নেতাদের দাবি, দলকে বাড়াতে গিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যেভাবে তৃণমূল থেকে লোক আমদানি করেছেন তাতে দলের মূল ভিত্তিটাই বাংলায় নড়ে গিয়েছে। তৃণমূল থেকে আসা নেতারা দলটিকে কার্যত হাইজ্যাক করে নিয়ে নিজেদের মতো করে দল চালাচ্ছেন। তৃণমূল থেকে আসা এক হেভিওয়েট নেতার অনুগামীরাই দলের বিভিন্ন পদে বসে আছেন। দলের আদি নেতাদের এখন আর দলে কোনও দাম নেই। তাঁদের না কোনও পদ দেওয়া হয়েছে না তাঁদের কোনও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। দলের কোনও মিটিং মিছিলেও তাঁদের ডাকা হয়না। তাঁরা বেঁচে আছেন না মারা গিয়েছেন সেই খবরটুকুও আর কেউ খোঁজ নেন না।
Leave a Reply