দিল্লিতে একমাত্র বিকল্প মমতা, ওন্দার সভা থেকে নেত্রীর হাত শক্ত করার আবেদন অভিষেকের

নিউজ ডেস্ক:  হিন্দু-মুসলিমের রাজনীতি করে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর থেকে জিতেছিল বিজেপি। অশান্তি না চাইলে সেই ভুল করবেন না। উন্নয়ন দেখে পঞ্চায়েতে ভোট দিন। তৃণমূল হিন্দু-মুসলিমের রাজনীতি করে না।  ধর্মীয় বিভাজনে এবারের পঞ্চায়েতে ভোট দেবেন না। ভাবনা বদলান। ভোট দিন উন্নয়ন দেখে। না হলে অশান্তি থামবে না। তৃণমূল বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করে। বাঁকুড়ার ওন্দা স্টেডিয়াম থেকে এমনই বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন তিনি বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, বাংলায় জিততে পারেনি বলে ১০০ দিনের কাজ, রাস্তা, আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছে বিজেপি। বাংলার টাকা আটকাতে বিজেপির নেতারাই দিল্লি দরবার করছে। তার পরেই তিনি প্রশ্ন করেন, বিজেপির নির্বাচিত প্রতিনিধি সুভাষ সরকার, সৌমিত্র খাঁ, অমরমাথ শাখা কেন বাংলার টাকা আদায়ে সরব হননি? কাদের ভোট দিলেন? যারা আপনাদের প্রাপ্য টাকা আটকাচ্ছে? এরপরেই রাজ্যের অধিকার আদায়ের জন্য তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান অভিষেক।

ওন্দার সভা থেকে অভিষেক এদিন বলেন, কাকে ভোট দেবেন সেই সিদ্ধান্ত আপনাদের। তবে লক্ষ্য ঠিক করুন।  উন্নয়ন, অধিকার আদায়ে ভোট দেবেন না কি বঞ্চনা, সাম্প্রদায়িকতার পক্ষে ভোট? ১০০ দিনের কাজ করেছেন প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ। তাঁদের টাকা গায়ের জোরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র। তাঁর দাবি, বাংলায় বিজেপি হেরেছে বলে একমাত্র এই রাজ্যকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। মেটানো হচ্ছে না প্রাপ্য টাকা। তারপরেই অভিষেক বলেন, অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করুন। বিজেপিকে ভোট দেওয়া মানেই খাল কেটে কুমীর আনা।

এদিনও তিনি হুঁসিয়ারি দিয়ে বলেন, বাংলার প্রাপ্য আদায়ে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর দফতরের সামনে ১ কোটি চিঠি নিয়ে অবস্থান করবেন। এর পরেই তাঁনি কটাক্ষ, দেখব কানে কত তুলো দিয়ে থাকেন? বলেন, কত ক্ষমতা দেখব। তাঁর সাফ কথা, ‘বাংলার অধিকার আদায় করবই’।

অভিষেক বলেন, বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুরে আচ্ছে দিনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত ২০১৯ এবং ২০২১ সালে বিজেপি জিতেছিল। ভোট নিয়ে এসেছিল ৫৬ ইঞ্চি এবং রাম মন্দিরের নামে।  তবে তাতে উন্নয়ন হয়নি। হয়েছে হিন্দু-মুসলিম বিভাজন। হয়েছে মূল্যবৃদ্ধি। দাম বেড়েছে জ্বালানির। অর্থনীতির উন্নতি হয়নি। এদিনের সভা থেকে অভিষেক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করার আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, দিল্লিতেও একমাত্র বিকল্প ‘দিদি’।  ‘অসময়ে মানুষের পাশে থাকে তৃণমূল’।