ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: শনিবার সকালে ইজরায়েলের উপর হামাসের হামলার খবর পাওয়া মাত্র মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারত সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ইজরায়েলকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বিশ্ব নেতৃত্বকে জঙ্গিপনা, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার আহ্বান জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বসে নেই গেরুয়া শিবির। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধকে ঘরোয়া রাজনীতিতে টেনে এনে বিরোধীদের নিশানা করা শুরু করেছে তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাসট্যাগ প্রচারে আরএসএস ও বিজেপির অনুগামী সংগঠন এবং ব্যক্তিরা ইজরায়েলের চলতি পরিস্থিতির সঙ্গে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিগত ইউপিএ জমানার তুলনা টানা শুরু করেছে। কাশ্মীর ও পাকিস্তানকে নিশানা করে বলা হচ্ছে, আজকের ইজরায়েলের মতো ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ভারতও ইসলামিক জঙ্গিদের দ্বারা বারবার আক্রান্ত হয়েছে।
গত দু’দিন যাবৎ #IStandWithIsrael, #IndiaWithIsrael and #BharatWithIsrael ইত্যাদি হ্যাসট্যাগে ইজরায়েল-হামাস সংঘাত নিয়ে তুমুল প্রচার চলছে। তাতে দাবি করা হচ্ছে, এখনই ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ানো উচিত ভারতের। ইজরায়েলকে ভারতের মিসাইল-সহ অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে সাহায্য করা দরকার। বলা হচ্ছে, ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত দেশে ইসলামিক সন্ত্রাসের দিনগুলি ভোলার নয়। ওই সময় কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার। দেশে তখন সক্রিয় ছিল লস্কর-ই-তইবা, হিজবুল মুজাহিদিন এবং জয়েস-ই মহম্মদের মতো ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি। গেরুয়া শিবিরের হ্যাসট্যাগ প্রচারে বলা হয়েছে হামাসের সঙ্গে এগুলির কোনও ফারাক নেই। একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।
ওই সময় কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার। দেশে তখন সক্রিয় ছিল লস্কর-ই-তইবা, হিজবুল মুজাহিদিন এবং জয়েস-ই মহম্মদের মতো ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি। গেরুয়া শিবিরের হ্যাসট্যাগ প্রচারে বলা হয়েছে হামাসের সঙ্গে এগুলির কোনও ফারাক নেই। একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। পাল্টা জবাবও দিয়েছেন কেউ কেউ। যেমন প্রধানমন্ত্রী মোদীর ২০১৮-র একটি টুইটের বক্তব্য তুলে ধরেছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, ওই পোস্টে মোদী ভারত ও প্যালেসটাইনের মধ্যে বন্ধুত্বের পক্ষে সরব হয়েছিলেন। ওই সব ঘটনা নিয়ে নীরব থেকে দশ বছর আগের ভারতে ইসলামিক সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ তুলে গেরুয়া শিবির দাবি তুলেছে ভারত ব্রহ্মসের মতো দেশিয় মিসাইল নিয়ে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়াক।
Leave a Reply