Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari: জবর দখল উচ্ছেদ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর

ইউ এন লাইভ নিউজ: জমি জবরদখল ও উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সরকারি জমি অধিগ্রহণ নিয়ে সরব হয়েছে। পাল্টা জবরদখল মুক্ত করতেও নির্দেশ দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে মমতা নিজের দলের বিধায়ক, নেতা, মন্ত্রীদেরও রেয়াত করেননি। নবান্নের বৈঠকে প্রত্যেক মন্ত্রীকে সরাসরি আক্রমণ করেছেন মমতা। কিন্তু জমি জবরদখল নিয়ে শুক্রবারই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিশানা করেন মমতা বন্দোপাধ্য়ায়কে। পাশাপাশি পাশে দাঁড়ান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুজিত বসুরও। কারণ নবান্নে বৈঠকে সুজিত বসুকেও জমি জবরদখল নিয়ে ধমক দিয়েছিলেন মমতা।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী জবরদখল হটানোর কথা বলেছেন। আপনি নিজে কালীঘাটের টালি নালার জমি জবরদখল করে বাড়ি সম্প্রসারণ করেছেন। মিটিং হল বানিয়েছেন। চলুন আমার সঙ্গে! এই নালার এলাকা ১০ বছর আগে কী ছিল এখন কী হয়েছে। মুখ্য়মন্ত্রীকে দেখেই দত্তাবাদে নিকাশি বুজিয়ে বুজিয়ে বিক্রি করে সুজিত বসু কোটি কোটি টাকা করেছেন।’ তবে এখানেই শেষ নয়, শুভেন্দু আরও যোগ করেন, ‘সুজিত বসু এখন চোর আর আপনি সাধু হয়ে গেলেন? এক যাত্রায় পৃথক ফল হয় না!’ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, ‘স্বল্প আয়ের মানুষকে যেভাবে উচ্ছেদ করা হচ্ছে তার মাসুল দিতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসকে। বেহালা, বিধাননগর, বোলপুরের মানুষের চোখের জলে ভেসে যেতে হবে তৃণমূলকে।

সম্প্রতি নবান্নের বৈঠকে মমতা বন্দোপাধ্যায় সরকারি জমি জবরদখল নিয়ে রাজ্যের নেতা মন্ত্রী ও পুলিশ কর্মীদের ধমক দিয়েছেন। তাঁর নিশানায় ছিলের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুও। সেখানেই টাকার বিনিময় ফুটপাতে ব্যবসা করার ছাড়পত্র দেওয়ার অভিযোগ করেছেন মমতা। যদিও তারপর থেকেই রাজ্যের একাধিক এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনার পর কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘একেবারে অবান্তর কথা! নির্বাচনী বিপর্যয়ের পরে বিজেপির অন্দরে দোষারোপের পালা শুরু হয়েছে। তার থেকেই নজর ঘোরাতেই এই কথা।’ যদিও রাজ্য সরকারের উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস ও সিপিএম। তারাও বিকল্প ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদের নিন্দা করেছে।