ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের নির্বাচনে হেরে গেলেন তালহা সইদ। জানা গিয়েছে, নির্দল প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছেন মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদের পুত্র। সারা দেশেই সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি হাফিজের দল পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লিগ। অন্যদিকে, নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ এনেছে ইমরান খানের দল পিটিআই।
সূত্রের খবর, পাকিস্তান মিডিয়াতে খবর প্রকাশ্যে এসেছে, যে সমস্ত আসনগুলিতে ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন, সেখানে রাতারাতি গণনা বদলে গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট আসনগুলিতেই নওয়ান শরিফের পিএমএল-এন প্রার্থীদের জয়ী ঘোষণা করা হচ্ছে পাক নির্বাচন কমিশনের তরফে। পরাজিত বলা হচ্ছে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীদের। প্রায় ১৫০ আসলে ইমরান খান সমর্থিক প্রার্থীদের জয় প্রায় নিশ্চিত ছিল কিন্তু, রাতারাতি সমস্তটা বদলে এবার নওয়াজ শরিফের দলের প্রার্থীদের এগিয়ে রাখা হয়েছে।
এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে প্রতিবাদ শুরু করেছে ইমরানের দল পিটিআই। তাদের দাবি, নির্বাচনের ফল পালটে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সেই জন্যই ফলপ্রকাশে এত দেরি। সেই সঙ্গে শাসক দল পাকিস্তান মুসলিম লিগকে ইমরানের দলের বার্তা, “নির্বাচনে হার স্বীকার করে নিন। কারণ ইতিমধ্যেই ১৫০টি আসনে জয়ী হয়েছেন পিটিআই সমর্থিত নির্দলরা। তারাই সরকার গড়বেন।” তবে গণনার শুরুতে এগিয়ে থাকা প্রার্থীরা বেলা বাড়তেই পিছিয়ে পড়েছেন।
পাকিস্তানের সামরিক বিশেষজ্ঞ সুশান্ত সরিন বলেন, ‘আমি দেখেছি, যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়, হয় তিনি মসনদে বসেন না হয় জেলবন্দি হন। নয়ত দেশ ছেড়ে লন্ডনে পালিয়ে যান। ইমরান খান এবং নওয়াজ শরিফের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই হয়েছে। পাকিস্তানের জনগণ কার পক্ষে ঝুঁকে রয়েছে সেটাই এখন দেখার। তবে ইমরান খানের দলের সমর্থনে প্রার্থীরা গদিতে বসলে নতুন করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেই আশঙ্কা। সে ক্ষেত্রে সেনার ভূমিকাও বড় হয়ে দাঁড়াবে। গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’