নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের বন্যা পরিস্থিতি দিনের পর দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। লাগাতার বৃষ্টির জেরে ঝুরঝুর করে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে ঘর-বাড়ি। বন্যা পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে যে সেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। পাকিস্তান প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে অধিকাংশ নদীই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। বন্যায় এখনও অবধি ১ হাজার জনেরও বেশি বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। যদিও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ করছে। ইতিহাস বলছে, পাকিস্তানের মাটিতে এমন বন্যা এর আগে কখনো হয়নি।
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইলের জানিয়েছেন, পাকিস্তানে বিধ্বংসী বন্যায় পাকিস্তানের অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে কমপক্ষে ১০ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮০০ কোটি টাকা) ক্ষতি হয়েছে।
পাকিস্তান প্রশাসন সূত্রের খবর, কয়েক দিন ধরে প্রবল বৃষ্টিতে সোয়াট, সাংগলা, মিনগোরা ও কোহিস্তান অঞ্চলে হড়পা বান শুরু হয়েছে। শুধু ‘সোয়াট’-নদী তীরবর্তী অঞ্চলে কমপক্ষে ২৪টি ব্রিজ ও ৫০টি হোটেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও, কালাকোট, দুরুসখেলা, চামানলালাই ও আঘাল অঞ্চলে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। ওই অঞ্চলে মানুষের মৃত দেহ ভাসতে দেখা গিয়েছে। বন্যায় সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে খাইবার পাখতুনখাওয়ায়। এখনও অবধি কমপক্ষে ২৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বালুচিস্তানে বন্যায় মারা গিয়েছেন ২৩৪ জন। পঞ্জাব প্রদেশে বন্যায় মারা গিয়েছেন ৩০০-রও বেশি মানুষ। পাক অধিকৃত কাশ্মীরেও বন্যার প্রভাব পড়েছে, সেখানে বন্যায় মারা গিয়েছেন প্রায় ৩৭ জন।
আগামী ৩০ অগস্ট অবধি পাকিস্তানের একাধিক প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যায় প্রায় ৩ কোটিরও বেশি মানুষ এই প্রভাবিত হয়েছেন, সবথেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছে বালুচিস্তান ও সিন্ধ প্রদেশ। বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। দ্রুত আর্থিক সাহায্য ও ত্রাণের প্রয়োজন রয়েছে, বলেও জানা যায়।
Leave a Reply