পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আদালতে বিজেপি, টুইটে তোপ দাগলেন শুভেন্দু !

ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক : সমস্ত জল্পনার অবসান করে অবশেষে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ৮ জুলাই হতে চলেছে গ্রাম বাংলার পঞ্চায়েত ভোট। মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে আগামীকাল শুক্রবার থেকেই এবং ১৫ই জুন শেষ হবে ।

এই কয়েকদিনের মধ্যে প্রায় ৭৪ হাজার মনোনয়ন কীভাবে জমা দেওয়া সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি সহ সমস্ত বিরোধী দল গুলি। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আগামিকাল শুক্রবারই কমিশনের এহেন নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হব। ইতিমধ্যে আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।এমনকি রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য।
তিনি তাঁর টুইটারে লিখছেন, র‍্যাগিং শুরু হয়ে গেল। মাত্র পাঁচ দিনে কীভাবে ৭৪ হাজার মনোনয়ন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।

শুধু তাই নয়, ভোট নয়, একেবারে ফল ঘোষণা কেন করা হচ্ছে না তা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন তিনি।অন্যদিকে টুইটে কড়া ভাষায় রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারীও। বাংলায় গণতন্ত্রের হত্যা করা হচ্ছে বলেও দাবি তাঁর। বিরোধী দলনেতা লিখছেন, নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। একতরফা ভাবে ভোট ঘোষণা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।

শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচন চলাকালীন কারোর প্রাণ গেলে মুখ্যমন্ত্রী এবং নির্বাচন কমিশন দায়ী থাকবে বলেও হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতার। কার্যত একই মত কেন্দ্রীয় বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার। তিনি বলেন, শাসক দল বুধবার ‘নিজেদের লোক’ রাজীব সিনহা দায়িত্ব দিয়েই আজই নির্বাচন ঘোষণা করে দিল! কোন সর্বদলীয় বৈঠক ছাড়াই এই ঘোষণা হয় কি করে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ওরা কি ভাবছে এভাবেই সব আসন জিতে নেবো?সিভিক ভল্যান্টিয়ার দিয়ে এক দিনে ভোট করে ভোট লুঠই শাসক দলের উদ্দেশ্য বলে কটাক্ষ বিজেপি নেতার।

এর বিরুদ্ধে তাঁরা আদালতে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে কেন্দ্রিয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষও।তিনি বলেন, “আমরাও চাই কেন্দ্রীয় বাহিনী হোক। সাধারণ মানুষ সাহস পাবে। নাহলে পঞ্চায়েতে যেভাবে হিংসা হয় ঠিকমতো ভোট হতে পারবে না”। দিলীপ আরও বলেন, “রাজ্যের জনগণের রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা নেই। তাই খুন খারাপি হলে সবাই সিবিআই চায়”।