বাঙালিদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ক্ষমা চাইলেন পরেশ রাওয়াল

নিউজ ডেস্ক : বাঙালিদের অপমানের সুর বিখ্যাত অভিনেতা পরেশ রাওয়ালের গলায়। আর তাতেই তীব্র জনরোষের মুখে বিজেপি নেতা। রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রসঙ্গ টেনে বাঙালিদের অপমান করার অভিযোগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কীর্তি আজাদ ও দেবাংশু ভট্টাচার্যসহ একাধিক নেতা সরব হওয়ার পরই এবার ক্ষমা চাইলেন অভিনেতা।

শুক্রবার সকালে ট্যুইট করে ‘ও মাই গড’ খ্যাত অভিনেতা পরেশ রাওয়াল জানিয়েছেন, ‘মাছের কথাটি এখানে প্রাসঙ্গিক নয়। গুজরাটের মানুষও মাছ রান্না করে খান। বাঙালি জাতিকে অপমান করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। বাঙালি বলতে বেআইনি বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের কথা বোঝাতে চেয়েছি। তবে আমার কথায় কারোর ভাবাবেগে আঘাত লাগলে ক্ষমা চাইছি।’

এর আগে বৃহস্পতিবার বিজেপির হয়ে প্রচার করার সময় অভিনেতা জানিয়েছিলেন, ‘গ্যাসের দাম বাড়লে তা আবার কমে যাবে। মূল্যবৃদ্ধি হলে সেটাও লাগামের মধ্যে চলে আসবে। সকলের কর্মসংস্থানও হবে। কিন্তু দিল্লির মতো আপনাদের চারপাশেও রোহিঙ্গা আর বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা ঘুরে বেড়ায়, তখন কী করবেন? কমদামের গ্যাসে মাছ রান্না করে বাঙালিদের খাওয়াবেন?’

এরপরই দেবাংশু ভট্টাচার্য জানান, ‘গ্যাসের দাম বাড়লে তার প্রভাব হিন্দু-মুসলিম সকলের উপরেই পড়ে। পরেশ রাওয়াল নিজে ও মাই গডের মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করার প্রতিবাদ করেছেন সিনেমায়। সেই তিনিই দু’টো ভোট পাওয়ার জন্য গুজরাটে গিয়ে এই ধরনের কথা বলছেন।’

তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘এই কথাগুলি অত্যন্ত অসম্মানজনক। পরেশের মনে রাখা দরকার, বাংলাতেও তাঁর ছবি মুক্তি পায়। সেখানে তিনি বলছেন, কমদামে গ্যাস নিয়ে কি বাঙালিদের মাছ রান্না করে খাওয়াবেন? নাম না করে সকল বাঙালিকে অনুপ্রবেশকারী বলেছেন বিজেপি সাংসদ।’

অন্যদিকে কীর্তি আজাদ, পরেশ রাওয়ালকে নিশানা করে একটি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ‘বাবু ভাইয়া আপনি তো এমন ছিলেন না… বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গারা যদি ভারতে প্রবেশ করে, তার মানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ভালোভাবে কাজ করছেন না অমিত শাহ! নাকি বলতে চাইছেন বিএসএফ ঠিকমতো সীমান্ত রক্ষা করতে পারছে না?’ তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়েছেন অভিনেতা।

আরও পড়ুন : Ravish Kumar Official: ২০ দিনে ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার বেড়ে দাঁড়ালো ১৬ লাখ, পদত্যাগের পর আরও জনপ্রিয় সাংবাদিক


Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *