নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিয়োগ দুর্নীতি কান্ড যে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছে, তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেক নিচু তলার কর্মীরাও। পুজোর আগেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডি আধিকারিকরা তাঁকে গ্রেফতারের সময় বেশ কয়েকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলন পার্থ। মুখ্যমন্ত্রী শুধু নয় দলের কেউই এই ঘটনাকে ভালোভাবে নেয়নি। সে কথাই বুধবার উঠে এল দমদমের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের কথায়।
এদিন সৌগত বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলকে বেশি বিড়ম্বনায় ফেলেছেন। মানিক বা অনুব্রত অতটা বিড়ম্বনায় ফেলেননি। পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি নগদ টাকা, মূল্যবান গয়না সহ একাধিক জমির দলিল, ফিক্সড ডিপোজিটের সার্টিফিকেট উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু মানিক বা অনুব্রতর বাড়ি থেকে কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত হলেও নগদ টাকা উদ্ধার হয়নি।
বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদের এই বক্তব্যের পরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সুজন চক্রবর্তী বলেন, সৌগত রায় গুড তালিবান-ব্যাড তালিবানের মতো উপমা দিচ্ছেন। পার্থর বান্ধবীর বাড়িতে থেকে টাকা পাওয়া গিয়েছিল আর অনুব্রত-মানিক ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকা গচ্ছিত রেখেছিলেন। দুটোই দুর্নীতি। টাকা দেখা গেলে বেশি দুর্নীতি আর ব্যাঙ্কে থাকলে কম দুর্নীতি—এই ব্যাখ্যা হাস্যকর।
আবার বিজেপি মুখপাত্রর কথায়, সৌগতবাবু কালীদাসের মতো কথা বলছেন। কারণ, টাকা দেখা গেলেই যদি বিড়ম্বনা বেশি হয়, তা হলে নারদ কাণ্ডে তাঁকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। সেই সময়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া ছিল দেখার মতোই।
Leave a Reply