নিউজ ডেস্ক: মাত্র ১৮ মিনিটের ব্যবধান। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে ট্যুইট করেন কুণাল ঘোষ। সেই ট্যুইটেই কুণাল লেখেন, শিক্ষায় নিয়োগ-বিতর্ক। দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য ও আরও কয়েকজন চাকরির সুপারিশ করেছিলেন কি? তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করেছিলেন কি? তদন্ত হোক। কেন্দ্রীয় এজেন্সি একমুখী কাজ না করে নিরপেক্ষ কাজ করুক।
এরপরেই বেলা ১২টা ৫ মিনিট নাগাদ বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন নিয়োগ দুর্নিতীকাণ্ডে অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার আদালতে ঢোকার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “যে সুজনবাবু, দিলীপবাবু, শুভেন্দুবাবুরা বড় বড় কথা বলছেন তারা নিজের দিকে দেখুন। উত্তরবঙ্গে তাঁরা কী করেছেন? সুজন বাবুদের জিজ্ঞেস করুন কী হয়েছিল? কতজন ডিওয়াইএফআই লোকের চাকরি হয়েছিল? ২০০৯-১০ সালের ক্যাগ রিপোর্ট পড়ুন। সব জায়গায় তদ্বির করেছেন সুজন-শুভেন্দুরা। যেহেতু আমি বলেছিলাম বেআইনি কাজ করতে পারব না। আমি নিয়োগকর্তা নই। শুভেন্দুর ২০১১-১২ সালটা দেখুন না। ডিপিএসসিতে দেখুন না কী করেছিল।”
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যের বিরোধীতা করেছেন সুজন-দিলীপ ঘোষরা। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, “২০১৫ সালে রাজনীতিতে এসেছি। ২০১৬ সালে পরিচয়। তার আগের কোনও বছর নিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলাই উচিত নয়। অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে পার্থর বদলে আমি জেলে যাব।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, জেলে থেকে প্রলাপ বকছেন পার্থ। তবে এখনও পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply