ইউ এন লাইভ নিউজ: ২০১২ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্স প্রথমবারের জন্য আইপিএল জেতার পর গ্র্যান্ড সেলিব্রেশন হয়েছিল। হুডখোলা বাসে ট্রফি নিয়ে যাত্রা করেন নাইটরা। ইডেনে মঞ্চ করে হয় বিশাল অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসেছিলেন কেকেআর কর্ণধার শাহরুখ খানও। ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের তারকারাও। রাজ্যের তরফ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় পুরো নাইট ব্রিগেডকে। ২০১৪ সালে কলকাতা দ্বিতীয়বার আইপিএল জেতার পরও ছবিটা একই ছিল।
কিন্তু এবার উৎসব থেকে বঞ্চিত এবং কলকাতাবাসী। সূত্র অনুযায়ী, চেন্নাই থেকেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’, লোকসভা নির্বাচন, নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে আপাতত কলকাতায় কোনও উৎসবের পরিকল্পনা নেই। ট্রফি নিয়ে পুরো দলের রাজ্যে আসার সম্ভাবনাও বেশ কম।
ইতিমধ্যেই অনেকে চেন্নাই থেকে বাড়ি ফিরেও গিয়েছেন। রিঙ্কু সিং পাড়ি দিয়েছেন নিউ ইয়র্ক। ১৫ জনের দলে না থাকলেও রিজার্ভ দলে কেকেআরের একমাত্র প্লেয়ার হিসেবে ভারতের বিশ্বকাপ দলে রয়েছেন এই ফিনিশার-ব্যাটসম্যান। মিচেল স্টার্ক, আন্দ্রে রাসেল, রহমানুল্লা গুরবাজ প্রমুখরা নিজেদের জাতীয় দলের সঙ্গে বিশ্বকাপে দেবেন। কেকেআরের বাকি প্লেয়াররাও এত বড় একটা মরশুমের পর বেশ ক্লান্ত। তারওপর পুরোপুরি ফিট না হয়েও বাদশাহ শাহরুখ খান তাঁর বেগুনি-সোনালি আর্মির টানে চেন্নাইয়ে এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে (চেপক) ফাইনালের রাতে উপস্থিত ছিলেন। ম্যাচ শেষে সপরিবারে মাঠ প্রদক্ষিণও করে দলের খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফেদের পরিবারের সঙ্গে দেখাও করেন কিং খান। তবে এখনই কলকাতায় আসার কোনও পরিকল্পনা নেই কেকেরারের মালিকের। তাই হয়ত সবদিক বিবেচনা করেই আপাতত ‘সিটি অফ জয়’-তে জয়ের গ্র্যান্ড সেলিব্রেশনের কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে ফিল সল্ট প্লে-অফের আগেই পাকিস্তানের সাথে সিরিজ খেলার জন্য ইসিবি-র ডাকে দেশে ফিরে গেলেও তাঁর কথা মনে রেখেছে নাইট শিবির। ম্যাচ শেষের আইপিএল জয়ের স্বাদ পেতেই ইংলিশ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানকে ভিডিও কল করেন তাঁর সতীর্থরা। ট্রফির তাঁকেও সেলিব্রেশন সামিল করা হয়। নিজের সন্তানের সাথে পরিচয় করিয়ে সল্টকে ফ্লায়িং কিস-ও দিতে দেখা যায় বরুণ চক্রবর্তীকে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের তৃতীয় আইপিএল ট্রফি জয়ের পিছনে সল্টের যে খুবই অবদান আর জয়ের উদযাপনে সামিল হওয়ার পর ফোনের স্ক্রিনে তাঁর আনন্দে মাতোয়ারা হওয়ার সীমাও ছিল দেখার মতো।
তবে দীর্ঘ দশ বছর পর কেকেআরের আইপিএল সেরার শিরোপা জয়ের উৎসবে শরিক না হতে পারার একটা আক্ষেপ তো অবশ্যই থাকবে থাকবে তিলোত্তমাবাসীর।
Leave a Reply