নিউজ ডেস্ক: বামেদের ৩৪ বছরের সাম্রাজ্যের পতন ঘটিয়ে ২০১১ সালে মসনদ দখল করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকেই ক্রমাগত সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে মমতার ঘনিষ্ঠদের, এমনই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করলেন বিজেপির আইনজীবী সেলের সদস্য তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলা ইতিমধ্যেই গ্রহণ করেছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে আগামী সপ্তাহেই শুনানি হতে পারে এই মামলার।
আরও পড়ুন: পুজোর অনুদান নিয়ে রাজ্য সরকারকে দিতে হবে হলফনামা: নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
মামলাকারীর অভিযোগ, ‘২০১১ -এর পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তি যে ভালোই বৃদ্ধি পেয়েছে, তা জানা গেছে বেশ কিছু সরকারি হলফনামায়। কিন্তু সেই সমস্ত তথ্য গায়েব নির্বাচনী হলফনামায়’। মুখ্যমন্ত্রীর ভাই সমীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী কাজরী পুরভোটে প্রার্থী হওয়ার আগে সম্পত্তি সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য লুকিয়েছেন বলেও অভিযোগ তাঁর।
বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারির আরও অভিযোগ, বেশ কিছু সংস্থায় নাম নথিভুক্ত রয়েছে সমীর ও কাজরীর। কিন্তু তার কোনো উল্লেখ নেই হলফনামায়। এমনকি তাঁরা সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত বলেও দাবি করেছেন। তাহলে কিভাবে বিশাল সম্পত্তির মালিক হলেন তাঁরা? আয়ের উৎস কী? তাঁদের ছেলের সম্পত্তির কোনো খতিয়ান পেশ করা হয়নি কেন?
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের স্বনামধন্য আইনজীবী কনিষ্ক সিনহা-র একটি নজিরবিহীন আইনি পদক্ষেপ
এখানেই শেষ নয়, একাধিক সরকারি সম্পত্তি বাজারমূল্যের থেকে কম দামে কেনা হয়েছে বলেও অভিযোগ মামলাকারীর। তরুণজ্যোতি তিওয়ারির অভিযোগ, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতার পরিবারের সদস্যদের কেনা সম্পত্তির সিংহভাগই ২০১৩-এর চিটফান্ড কেলেঙ্কারির পর ক্রয় করা হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি চিটফান্ড কেলেঙ্কারি ও সম্পত্তি বৃদ্ধির কোনো যোগসাজশ রয়েছে?’ যদিও এই মামলায় সরাসরি নাম নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
Leave a Reply