Bunkulung

An Offbeat Travel Destination: দার্জিলিং অথবা মিরিক ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন? একটা রাত কাটাতে পারেন পাহাড়ে ঘেরা গ্রাম বংকুলুঙে

ইউ এন লাইভ নিউজ: মিরিকের কাছাকাছি অবস্থিত আছে একটি অদ্ভুত সুন্দর গ্রাম। যা প্রবাহিত নদী এবং চা বাগানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা। গ্রামটির নাম বংকুলুঙ। শহুরে যানজট এড়িয়ে যানবাহনের কোলাহল ছাড়িয়ে দু’দিন নিশ্চিন্তে কাটিয়ে আসতে পারেন সেখানে।

শিলিগুড়ি শহর ছাড়ালেই শালের জঙ্গল ঘেরা রাস্তা সেই সবুজ পেরোলেই উঁকি দেয় চা-বাগান। খানিক যেতে না যেতেই শুরু হয় পাহাড়।

ওই পাহাড়ি পথ ধরেই পৌঁছানো যায় বংকুলুঙে। বালাসন ও মুরমা নদী বয়ে গিয়েছে কোলাহল বর্জিত ছোট্ট গ্রামটির উপর দিয়ে। চারদিক ঘন সবুজ। গ্রামের ছোট ছোট বাড়িতে রঙিন ফুলের সম্ভার। বংকুলুঙের আনাচ-কানাচে রয়েছে দারচিনির ক্ষেত।

শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ৪৮ কিলোমিটার এবং মিরিক থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, এই ছোট্ট গ্রাম। আপনি যদি ভিড় থেকে বাঁচতে চান এবং এক বা দুই দিনের জন্য প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে চান তবে এই গন্তব্য হতে পারে মনের মতো।

বংকুলুঙের এর উচ্চতা মাঝারি, তাই এখানে অতিরিক্ত ঠান্ডা পরেনা, বরং ভীষণ গরমে এলে ঠান্ডা না পেয়ে কিঞ্চিৎ হতাশ হতে হবে। তবে বর্ষায় এই স্থান হয়ে ওঠে আর পাঁচটা পাহাড়ি এলাকার মতো ঘন সবুজ। আর পুজোর মরসুমে এলে প্রাপ্তি হবে কমলালেবু।

বংকুলুঙের মধ্য দিয়ে হাঁটার সময়, আপনি মুরমাহ নদীর জলধারা এবং বালাসন নদী চোখ পড়বে। বংকুলুং-এ এক বা দুই রাত থাকার জন্য আদর্শ। আপনি কাছাকাছি গয়াবাড়ি এবং মুরমা চা বাগান ঘুরে দেখতে পারেন বা গ্যামন সেতু থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। গ্রামের মধ্য দিয়ে হেঁটে আপনি জঙ্গল এবং গ্রামীণ পথের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।

থাকার জায়গা

বংকুলুঙে স্থানীয় আতিথেয়তা এবং ঘরোয়া খাবার সহ বেশ কয়েকটি হোমস্টে রয়েছে। পাওয়া যায় পাহাড়ি মানুষের আতিথেয়তা।

কী ভাবে যাবেন?

শিলিগুড়ি বা নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দুধিয়া হয়ে বংকুলুং যাওয়া যায়, আবার মিরিক হয়েও যাওয়া যায়। সরাসরি গাড়ী বুকিং করে নেওয়া যায়। নিউ জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি থেকে মিরিক যাওয়ার রাস্তায় পড়ে দুধিয়া। দুধিয়া ছাড়িয়ে গেলে মঞ্জু পার্ক। সেখান থেকে ৭-৮ কিলোমিটার গেলেই বংকুলুং। মিরিক থেকে সৌরিনী হয়ে আসা যায়।