নিউজ ডেস্ক: ভাঙর কাণ্ডে নওশাদ সিদ্দিকি সহ আইএসএফ কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। ধৃতদের একজন তৃণমূল বুথ সভাপতি। বাকিরা তৃণমূলের কর্মী বলেই পরিচিত। সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই পুলিশ তাঁদের চিহ্নিত করেছে। তারপরেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের রবিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে জানা গেছে।
চলতি মাসের ২০ তারিখ ভাঙড়ে গুলি চালানকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। ঠিক তার পরের দিন অর্থাৎ ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফের দলীয় সভাতেও ফের হামলা চালায় রাজ্যের শাসক দলের কর্মীরা। তারই প্রতিবাদে ধর্মতলায় রাস্তার উপর বসে পড়ে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশ অবরোধ তুলতে এলে আইএসএফ কর্মীদের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধ বেধে যায়। পুলিশকে আক্রমণ, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে আইএসএফের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে পুলিশ আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি সহ মোট ৪৩ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
বুধবার নওশাদ সিদ্দিকিকে আদালতে তোলা হলে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেস দেয় ব্যাঙ্কসাল কোর্ট। নওশাদকে গ্রেফতারের নেপথ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, নওশাদকে জেরা করতে গিয়ে সামনে এসেছে নানা তথ্য। সেই তথ্যের ভিত্তিতে এবার আইএসএফ বিধায়কের উপর হামলার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে চারজন তৃণমূল কর্মী। অপর অভিযুক্ত তৃণমূল বুথ সভাপতি। তাদের বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
Leave a Reply