বিচার বিভাগের অভ্যন্তরেই ‘রাজনীতি’, ফের বিস্ফোরক কিরেন রিজিজু

নিউজ ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে বিচার বিভাগ এবং আইনসভার দ্বন্দ্ব। কলেজিয়াম পদ্ধতি নিয়ে ফের বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। উদয়পুরের সম্মেলনের পর এবার ‘বিচার বিভাগের অভ্যন্তরে রাজনীতি’র অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন তিনি। বিচার ব্যবস্থাকে সরাসরি নিশানা করে কিরেন রিজিজুর দাবি, কলেজিয়াম পদ্ধতিতে খুশি নয় দেশবাসী। আর তাতেই বিরোধী মহলে। প্রশ্ন উঠেছে, কলেজিয়ামের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেই কি এবার ঘুরপথে বিচারপতি নিয়োগের দায়িত্বও নিজের হাতে তুলে নিতে চাইছে সরকার?

‘সবরমতি সংবাদ’ প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘পাঞ্চজন্য’। সেখানে উপস্থিত হয়ে কিরেন রিজিজু জানিয়েছেন, সংবিধান অনুযায়ী বিচারক নিয়োগ করা সরকারের কাজ। কিন্তু বিচারকরা বেশিরভাগ সময়ই নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, ফলে তাদের প্রাথমিক কাজ অর্থাৎ বিচার প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বিচার ব্যবস্থার অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কিরেন রিজিজু জানিয়েছেন, বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করার উপায় না থাকলে ‘জুডিশিয়াল অ্যাক্টিভিজম’ এর মত শব্দ ব্যবহার করতে হয়। অনেক বিচারক এমন পর্যবেক্ষণ পাশ করেন যা কখনই রায়ের অংশ হতে পারে না। বিচারকরা অনেকক্ষেত্রে ব্যবহারিক অসুবিধে বা আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথা জানেন না।

এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ আর বিচারবিভাগ – এটাই আমাদের স্তম্ভ। আমি মনে করি শাসন বিভাগ, আইন বিভাগ তাদের নির্দিষ্ট দায়িত্বে আবদ্ধ এবং বিচার বিভাগ তাদের সংশোধন করে। কিন্তু বিচারব্যবস্থা বিপথে চলে গেলে উন্নতি করার কোনও উপায় থাকে না। আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি জানান, ভারত ব্যতীত বিশ্বের কোথাও বিচারকরা তাদের ভাইদের বিচারক নিয়োগ করেন, এরম রেওয়াজ নেই।

কিরেন রিজিজু জানিয়েছেন, বিচারক বাছাইয়ের জন্য পরামর্শ প্রক্রিয়া এতটাই জটিল যে এখানেও দলবাজির সৃষ্টি হয়। জনগণ নেতাদের মধ্যে রাজনীতি দেখতে পেলেও বিচার বিভাগের ভেতরে যে রাজনীতি চলছে তা জানে না। একজন বিচারক তখনই সমালোচনার ঊর্ধ্বে থাকবেন যখন তিনি অন্য বিচারপতি বাছাইয়ে জড়িত হবেন না। তবে প্রশাসনিক কাজে যুক্ত হলে তিনি সমালোচনার ঊর্ধ্বে নন।

আরও পড়ুন : Kedarnath Helicopter Crash: পুণ্যার্থী নিয়ে ভেঙে পড়ল হেলিকপ্টার, ২ পাইলট-সহ মৃত ৬