ইউ এন লাইভ নিউজ: এখনো পর্যন্ত কোনো রকম মন্তব্য করেনি সরকার। অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেফতারি নিয়ে নির্বাক কেন্দ্রের সকল মন্ত্রী। সরাসরি কেজরিওয়ালকে উদ্দেশ্য না করলেও, মঙ্গলবার পরোক্ষ ভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একাধিক সভায় দুর্নীতিতে অংশগ্রহণকারী নেতাদের জেলে পাঠানোর ক্ষেত্রে সরব হয়েছেন। ভিন্ন ভিন্ন সভায় এক সুরে মোদী ও শাহ জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ভ্রষ্টাচারীদের জেল হওয়া উচিত কী উচিত নয়? বলাই বাহুল্য বিজেপি সমর্থকেরা সমস্বরে ‘হ্যাঁ’ বলে গর্জন করেছেন প্রতিটি সভায়। সেই গর্জন শুনে দু’জনেই বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই হল দেশের মানুষের রায়।’
উত্তরাখণ্ড এবং রাজ্যস্থান মিলিয়ে মঙ্গলবার চারটি সভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সভা করেন মধ্যপ্রদেশে। দিল্লি ফেরার আগে উত্তরাখণ্ডের শেষ সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার তৃতীয়বারের সরকার এখন মাত্র মাস দুইয়ের অপেক্ষা। তৃতীয়বার দায়িত্ব নিয়েই ভ্রষ্টাচারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেব।’ অন্যদিকে মোদী জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘দুর্নীতির অবসান হওয়া উচিত, কী উচিত নয়? দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করা উচিত, কী উচিত নয়? দুর্নীতিবাজদের জেলে পাঠানো উচিত, কী উচিত নয়?’ জনতা হ্যাঁ বলতেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধীরা যতই আমার মুণ্ডপাত করুক না কেন, আমি দমে যাব না। ব্যবস্থা নেবই। এটা মোদীর গ্যারান্টি।’
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার নাম না করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির সপক্ষে জনমত তৈরি করতে নেমেছেন। লক্ষণীয়, প্রধানমন্ত্রী এই ব্যাপারে রবিবার থেকে সুর চড়াতে শুরু করেছেন। ওইদিন দিল্লির রামলীলা ময়দানে বিশাল জনসভা করে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদ ছিল ওই সমাবেশের অন্যতম ইস্যু। মোদী সেদিন উত্তরপ্রদেশের মিরাটের সভায় জবাবদিহির সুরে বলেন, ‘ইডি, সিবিআইকে আমি নিয়ন্ত্রণ করি না। এজেন্সি পুরোপুরি স্বাধীন। আদালতের নির্দেশে ইডি-সিবিআই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে।’
Leave a Reply