ইউ এন লাইভ নিউজ: আজ সন্ধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতি ভবনে হবে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। মোদির শপথ অনুষ্ঠান ঘিরে সাজ সাজ রব রাজধানীতে। নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবন চত্বর। বসানো হয়েছে ৫০০ সিসিটিভি ক্যামেরা। দেশ-বিদেশের আমন্ত্রিত রাষ্ট্রপ্রধানরা শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লিতে আসতে শুরু করেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছেন। দিল্লি বিমানবন্দরে বিশেষ মণিপুরি নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, মোদির শপথ অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল, ভুটানের রাজা জিগমে খেসর নামগিয়াল ওয়াংচুক, মরিশাস এবং মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতিকেও আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। রবিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন মন্ত্রী শপথ নিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
‘আব কি বার চারশো পার’ এই স্লোগান দিয়েই লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের প্রচার করেছিল বিজেপি। যদিও এই স্লোগান ভোটবাক্সে কার্যকর হয়নি। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি গেরুয়া শিবির। নীতীশ কুমারের রাষ্ট্রীয় জনতা দল এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টির সহযোগিতায় এবং অন্য শরিকদলের সমর্থনে তৃতীয়বার সরকার গড়তে চলেছেন মোদি । শুক্রবার এনডিএ সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হন তিনি। এনডিএ দলগুলির শীর্ষ নেতাদের উদ্দেশ্যে মোদি বলেছেন, ”আমার সৌভাগ্য যে আপনারা সকলে সর্বসম্মতিক্রমে আমাকে নেতা নির্বাচিত করে এই গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন।”
আজ সন্ধ্যায় তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন মোদি । দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর পর নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয় ভারতীয় যিনি টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতে চলেছেন। এনডিএ জোটের অন্যান্য শরিকদের মন্ত্রিত্বের চাহিদার কারণে কিছুটা হলেও তৃতীয় মোদি সরকার গঠনের আগে বিজেপির কপালে রয়েছে চিন্তার ভাঁজ। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে নরেন্দ্র মোদিকে নির্ভর করতে হচ্ছে এনডিএ-র বড় শরিক টিডিপি ও জেডিইউ-র ওপর। তাই দুই দলকেই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক দেওয়া হবে । তবে কোন দল কী কোন মন্ত্রক পাচ্ছেন তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট জানা যায় নি।
লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ২৭২টি আসন। বিজেপি এককভাবে জিতেছে ২৪০টি আসন। এনডিএ পেয়েছে ২৯৩টি আসন। সরকার গড়ার ক্ষেত্রে যদি টিডিপি, জেডিইউ-র মতো দল বেঁকে বসে, তবে চাপে পড়বেন মোদি। তাই দুই গুরুত্বপূর্ণ শরিক দলের দাবিকে গুরুত্ব দিতে বাধ্য হচ্ছে বিজেপি। শুক্রবার সেন্ট্রাল হলে এনডিএ-র মিটিং হয়। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদির নামে সমর্থন জানিয়েছেন শরিকেরা। তার পর ওই দিন বিকেলেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে গিয়ে তৃতীয়বার সরকার গঠনের জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে আবেদন জানান নরেন্দ্র মোদি।
এদিকে, জেডিইউ নেতা কে. সি. ত্যাগি দাবি করেছেন,ইন্ডিয়া জোটের তরফে নীতীশ কুমারকে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। যদিও এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা কে. সি. বেণুগোপাল মন্তব্য করেন, ”প্রধানমন্ত্রী পদের অফার দেওয়ার কোনও তথ্য তাঁর অন্তত জানা নেই।”
Leave a Reply