নিউজ ডেস্ক: নেপাল-দিল্লির পর এবার পাঞ্জাবের অমৃতসর। পাঞ্জাবের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহর ইতিহাসের পাতায় যা কখনও রামদাসপুর বা স্থানীয়দের মুখে অম্বরসর নামে পরিচিত, কেঁপে উঠল ভূমিকম্পে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে জানানো হয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.১। দিল্লিতে বুধবার ও শনিবার ভূমিকম্পের পর আজ, সোমবার পাঞ্জাবেও ভূমিকম্প হল। দিল্লি সংলগ্ন অঞ্চলগুলিতে হঠাৎই ভূমিকম্পের বাড়বাড়ন্তে নিঃসন্দেহে তৈরি হচ্ছে আতঙ্ক।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, রবিবার, অর্থাৎ ১৩ নভেম্বর রাত ৩টে ৪২ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয় অমৃতসরে। ভূমিকম্পের উৎসস্থলও ছিল অমৃতসর। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২০ কিলোমিটার গভীরে ছিল তার কেন্দ্রস্থল। এই ভূমিকম্পের জেরে এখনও অবধি সেরকম কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হলেও গভীর রাতে কম্পন অনুভূত হতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। বিপদের আশঙ্কায় বাড়ি ছেড়েও বেরিয়ে আসেন বহু অমৃতসরবাসী।
প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যে তিনবার। হঠাৎই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ভূমিকম্প। প্রথম ভূমিকম্পটি হয় ৯ নভেম্বর। দিল্লি এবং রাজধানী সংলগ্ন অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হয়েছিল। পরে জানা যায়, ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল নেপাল। রাত দুটো নাগাদ নেপালে ৬.৩ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প হওয়াতেই দিল্লি ও সংলগ্ন উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, বিহার সহ একাধিক রাজ্যে কম্পন অনুভূত হয়। এই ভূমিকম্পের জেরে নেপালের ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৬ জনের মৃত্য়ু হয়েছিল, বহু বাড়িও ভেঙে পড়ে। পরেরদিনও উত্তরাখণ্ডে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
নেপালের পর আবার ১২ নভেম্বর শনিবার ভূমিকম্প হয় রাজধানী দিল্লিতে। রাত আটটা নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দিল্লি। রিখটার স্কেলে ওই কম্পনের মাত্রা ছিল প্রায় ৫.৪। নয়ডা, গুরুগ্রাম সহ দিল্লি সংলগ্ন একাধিক অঞ্চলগুলিতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল।
Leave a Reply