ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো বাঙালির দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে। ইতিমধ্যে পুজোর কেনাকাটাও শুরু করে দিয়েছেন অনেকে। শুরু হয়ে গিয়েছে রাস্তায় মণ্ডপের বাঁশ পোতা, হোর্ডিং লাগানো। সবমিলিয়ে পুজো নিয়ে উন্মাদনা এবং ব্যস্ততা, দুই-ই তুঙ্গে। কিন্তু দেবীপক্ষ পড়ার অনেক আগে থেকেই এই রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে আর এক অসুর- ডেঙ্গি। ইতিমধ্যে এবছর বাংলায় অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন এই ডেঙ্গিতে। পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে হাসপাতালেও ভর্তি রয়েছেন বহু রোগী। এভাবে চলতে থাকলে বাংলায় ডেঙ্গি নিয়ে মহামারিও ছড়াতে পারে। তাহলে কী হবে রাজ্যের ভবিষ্যৎ? এই নিয়ে শনিবার মুখ খুললেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
ডেঙ্গির প্রকোপে নাজেহাল কলকাতা পুরনিগমের একাধিক ওয়ার্ড। এবার পুরনিগমের সবক’টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র রবিবার এবং ছুটির দিন খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিল পুরনিগম। রবিবার এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে কলকাতা পুরনিগমের তরফে। ছুটির দিন খোলা থাকবে বরোর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিও খোলা থাকবে। শুধু তাই নয়, খোলা রাখা হবে ডেঙ্গি নির্ণায়ক কেন্দ্রগুলিও থাকবে খোলা। এছাড়া পুরসভার সবকটি স্বাস্থ্যবিষয়ক অফিসই খুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকেই এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে। ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে।
শনিবার ডেঙ্গি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফিরহাদ বলেন, “আমরা যতটা সম্ভব প্রস্তুতি নিচ্ছি। অন্যান্য শহরের তুলনায় এখনও কলকাতায় ডেঙ্গি অনেক কম। সেটা যাতে কমই থাকে, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।” এখানেই না থেমে কলকাতার মেয়র আরও বলেন, “মানুষ এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যাতায়াতের কারণেই ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়ছে। কারণ কোথায় মশা কামড়াচ্ছে, তা ঠাউর করা যাচ্ছে না। আমরা ডেঙ্গি নিয়ে প্রচারের মাত্রা আরও বাড়াচ্ছি। মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চলছে। তার সঙ্গে আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল এলাকা পরিষ্কার রাখা। পুরসভার তরফে ইতিমধ্যে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে এই কাজগুলো করা হচ্ছে। ডেঙ্গি ধরা পড়লে তাঁর চিকিৎসার সুবন্দোবস্তও করছে প্রশাসন।”