ইউ এন লাইভ নিউজ: হাথরস ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে আছে রাজনৈতিক মহল। এই ঘটনার অবস্থা খতিয়ে দেখতে হাথরসে যাওয়ার কথা ছিল লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর। শুক্রবার সকালেই হাথরস পৌঁছে গেলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপৃষ্ট হয়ে ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে হাথরসে। এখনও জখম বহু মানুষ। ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বার বার। ঘটনায় প্রশ্নের মুখে যোগী সরকার। আর এর মধ্যেই হাথরস পৌঁছে গেলেন কংগ্রস সাংসদ। সেখানে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি তাদের সঙ্গে কথা বলেন রাহুল। রাহুল গান্ধীর হাথরস সফর ঘিরে একেবারে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ এবং সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে গ্রামে। শুক্রবার হাথরসে রাহুল গান্ধী তিনটি পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।
সেই মতো মৃত আশা দেবীর স্বামী জুগনু, মুন্নি দেবীর স্বামী সুভাষ চাঁদ এবং কিষাণ লালের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। হাথরস যাওয়ার আগে এদিন আলিগড়ের পিলখানায় রাহুল গান্ধী মৃত মঞ্জু দেবীর ছেলে পঙ্কজ এবং তাঁর স্বামী ছোটে লালের সঙ্গে দেখা করেন। সবরকম ভাবে তাঁদের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। সরকার না থাকলেও যে কোনও প্রয়োজনে পাশে থাকার কথা রাহুল তাদের জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে সংবাদ মাধ্যমকে পঙ্কজ জানিয়েছেন, ‘সরকার আমাদের কোনও সাহায্য করেছেন কিনা তা জিজ্ঞেস করেন রাহুলজি। কিন্তু কোনও সাহায্য এখনও আসেনি। পিএমও থেকে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপুরণ দেওয়ার কথা শুনেছি। কিন্তু কোনও টাকা এখনও হাতে পাইনি।’
অন্যদিকে ছোটে লাল রাহুল গান্ধীকে সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কীভাবে এত বড় ঘটনা ঘটল তা তাঁকে জানান। ছোটে লাল বলেন, ‘আমি বাইকে বাইরে ছিলাম। হঠাৎ করেই মেন গেটের সামনে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আমি জানতাম না যে আমার স্ত্রী এবং ছেলেও পিষ্ট হয়েছে, ঘটনায় আমিও আহত হয়েছি’, রাহুল গান্ধীকে পুর ঘটনা জানাতে জানাতেই কেঁদে ফেলেন ছোটে লাল। জড়িয়ে ধরে আশ্বাস দেন সাংসদ। অন্যদিকে রাহুল বলেন, ‘ঘটনায় অনেকের মৃত্যু হয়েছে। আমি কোনও রাজনীতি করতে আসিনি। ঘটনায় আরও ক্ষতিপুরণের দাবিও জানান তিনি। বলেন, ‘অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। উত্তরপ্রদেশ সরকারের উচিৎ এই বিষয়ে আরও উদার হওয়া। অন্যদিকে ঘটনার পরেই উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। এই কমিটি ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। যেখানে এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে জানা গিয়েছে।
Leave a Reply