ইউ এন লাইভ স্পোর্টস ডেস্ক: কোয়ার্টার কাঁটা কাটিয়ে এবার তৃতীয় বারের জন্য রঞ্জি ট্রফির সেমিতে বাংলা। বিরাট সিংয়ের ঝাড়খণ্ডকে হারিয়ে চলতি মরসুমে রঞ্জি ট্রফি জয়ের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল মনোজ তিওয়ারিরা। সেমির টিকিটের জন্য চতুর্থ দিন তাড়াতাড়ি ঝাড়খণ্ডের ৩টি উইকেট তুলে নিতে হত বাংলাকে। তারপর ছিল রান তাড়া করার পালা। সবটাই গিয়েছে বাংলার পক্ষে। চতুর্থ দিনের শুরুতেই উইকেট পান মুকেশ কুমার। শাহবাজ নাদিম ফেরেন ৬ রানে। বাকি ২টি উইকেটও সহজেই তুলে নেয় বাংলা।
ইডেনের চেনা পিচে টস জিতে পরিকল্পিতভাবেই বল করা সিদ্ধান্ত নেন মনোজ। পেস সহায়ক পিচে প্রথম থেকেই এক রত্তি জায়গা দেননি আকাশ দীপরা। ঝাড়খণ্ড দলে সৌরভ তিওয়ারি না থাকায় অনেকটাই সুবিধা হয় বাংলার। ম্যাচের দিন সকালে চোট পান সৌরভ। তাঁকে বাদ দিয়েই দল নামাতে বাধ্য হন অধিনায়ক বিরাট সিং। কিন্তু বাংলা দল পেয়ে যান মুকেশ কুমার, শাহবাজ আহমেদের উইকেট। তাঁরা প্যাভিলিয়নের রাস্তায় ফিরতেই বাংলার শক্তি অনেকটাই বেড়ে যায়।
এদিক, চতুর্থ দিনের শুরুতে শাহবাজ নাদিম যখন আউট হন, তখন ঝাড়খণ্ডের স্কোর ছিল ১৬৪। যা দেখে মনে হয়েছিল খুব শীঘ্রই শেষ হবে ঝাড়খণ্ডের ইনিংস। কিন্তু সুপ্রিয় চক্রবর্তী ও রাহুল শুক্লার জুটিতে ঝাড়খণ্ড তোলে আরও ৫৬ রান। অবশেষে ২২১ রানেই শেষ হয় ঝাড়খণ্ডের দ্বিতীয় ইনিংস। শেষ অবধি ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন সুপ্রিয়। ৬৬ রানের লিড নিয়েছিল বিরাটের দল। ফলে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ জিততে হলে বাংলাকে তুলতে হত ৬৭ রান। অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও সুদীপ কুমার ঘরামি, এই জুটিই ১২.৪ ওভারের মাথায় টার্গেট পূরণ করে ফেলে বাংলার হয়ে। অভিমন্যু ২৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। অন্যদিকে সুদীপ ঘরামি ২৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন।
Leave a Reply