ইউ এন লাইভ নিউজ: টলিপাড়ার অভিনেত্রী সোহিনী সরকারের বিয়ের পর থেকেই একাধিকবার চর্চায় এসেছেন তার প্রাক্তন প্রেমিক রণজয় বিষ্ণু। কখনও তাঁর আরেক প্রাক্তন প্রেমিকা সায়ন্তনী গুহ ঠাকুরতার পোস্ট ঘিরে জল্পনা চলছে তো কখনও আবার সেই পোস্টে কমেন্ট করে বিতর্ককে উস্কে দিচ্ছে পরিচালক। আর এবার তো টলিউডের তারকা রণজয় বিষ্ণুকে সরাসরি রণবীর সিংহের সঙ্গে তুলনা করলেন তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল। অভিনেতা রণজয়ের জীবনে যেমন একাধিকবার প্রেম এসেছে তেমন সেই প্রেম আবার ভেঙেও গিয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত যা নিয়ে সবচেয়ে বেশি চর্চা, সেটি রণজয়ের সঙ্গে অভিনেত্রী সোহিনী সরকারের সম্পর্ক। সদ্য বিয়ে করেছেন সোহিনী। যদিও প্রাক্তন প্রেমিকা ও তাঁর বর্তমান স্বামীকে নতুন জীবনের শুভেচ্ছাই জানিয়েছেন রণজয়। কিন্তু অভিনেতা সম্পর্কে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা প্রিয়াঙ্কা দাবি করেছেন, ‘‘এর সবটাই লোকদেখানো। আসলে পিছনে মানুষের সমালোচনা, কটু কথা বলা, এ সবই করে।’’ তার আরও সংযোজন ‘‘রণজয়ের সঙ্গে থাকা মানে ওর ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়া। ওর পিছনে টাকা খরচ করতে না পারলে সম্পর্ক টেকানো মুশকিল। যদিও এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি খরচ সোহিনীই করছে ওর পিছনে।’’
রণজয়ের প্রেম ভাঙার পর তিনি উপলব্ধি করেন, রণবীর সিংহের ‘লেডিস ভার্সাস রিকি বহেল’ ছবির গল্পেরই যেন অংশ তিনি। ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রণবীর সিংহ অভিনীত ছবি ‘লেডিস ভার্সাস রিকি বহেল’ যেখানে বিপরীতে ছিল নায়িকা অনুষ্কা শর্মা, পরিণীতি চোপড়া, অদিতি শর্মা, দীপান্বিতা শর্মা প্রমুখ। সেই ছবিতে দেখানো হয়েছিল এক ঠকবাজের চরিত্রে রণবীর সিংহকে। যে উচ্চবিত্ত বাড়ির মেয়েদের নিজেদের প্রেমের জালে ফাঁসায় এবং তার পর তাদের থেকে টাকা পকেটস্থ করে চম্পট দেয়। এটাই ছিল ছবির চিত্রনাট্য। আর এবার সেই ছবিরই ওই মূল চরিত্র ‘রিকি বহেল’-এর সঙ্গে তুলনা করলেন প্রাক্তন প্রেমিকা প্রিয়াঙ্কা মন্ডল। পেশায় তিনিও অভিনেত্রী। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সম্পর্কে ছিলেন তাঁরা। প্রিয়াঙ্কার দাবি, তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন তেমন কোনও কাজ ছিল না রণজয়ের হাতে। তাই অভিনেতার জামাকাপড়, শখ-শৌখিনতার সব দায়িত্বই ছিল প্রিয়াঙ্কার কাঁধে। পরবর্তী সময়ে প্রিয়াঙ্কার অর্থৈনিতক পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করতেই নাকি সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসেন রণজয়। প্রিয়াঙ্কার কথায়, ‘‘সম্পর্কে থাকাকালীন আমিই ওর দায়ভার উঠিয়েছি।
২০১৮-এর দিকে আমার হাতে কাজ কমতে থাকে, টাকাপয়সা সে ভাবে খরচ করতে পারতাম না। সেই সময় রণজয়ের হাতে একটি ওড়িয়া ছবির কাজ আসে। তখন ওড়িয়া ছবির এক নামী অভিনেত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে শুরু করে। তার পরই আমার সঙ্গে প্রেম ভাঙে।’’ তার পর ২০১৯ সালে সোহিনী আসেন তাঁর জীবনে। প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘‘যখন দেখলাম, সোহিনী ওর জীবনে এসেছে, খানিক অবাক হয়েছিলাম। যখন রণজয়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলাম, ও সোহিনীর সম্পর্কে নানা কুকথা বলত। তার এক বছর পরে দেখি, তার সঙ্গেই সম্পর্কে। তবে এটুকু বুঝেছিলাম যে, আমার মতো এ বার সোহিনীকেও জবাই করবে। হয়েছেও তাই। পরে যখন সোহিনীর সঙ্গে কথা হল, সব জানতে পারলাম। খরচের দিক থেকে অন্য প্রেমিকাদের তুলনায় সবচেয়ে উপরে রয়েছে সোহিনী।’’
কিন্তু এখন হঠাৎ এত বছর পর এই কথাগুলো বলার কারণ কি? প্রিয়াঙ্কার কথায়, ‘‘আমি যখন সম্পর্কে জড়াই, তার পরই শিবাঙ্গীর ঘটনাটা জানতে পারি। তার ফলে একটু হলেও সচেতন ছিলাম। সোহিনী কিছুই জানত না। তাই ওর এ রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। পরবর্তী কালে যে মেয়েই তার জীবনে আসুক না কেন, সে যেন সচেতন থাকে।’’
Leave a Reply