ডেস্ক : নিউ নরমালে এবার বাড়ল বাড়ি গাড়ির ইএমআই (EMI)। একদিকে পাল্লা দিয়ে আরবিআই বাড়াচ্ছে রেপো রেট, অন্যদিকে ইএমআই (EMI) বেড়ে যাওয়ায় ঘুম উড়ল মধ্যবিত্তের।
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টায় লাগাতার দ্বিতীয়বার রেপো রেট বৃদ্ধি করতে বাধ্য হল আরবিআই (RBI)। মুদ্রাস্ফীতি মোকাবেলায় সারা বিশ্বের প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি যে পথে চলেছে সেই পথ বেছে নিয়েই ৫০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়াল আরবিআই।
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মনিটারি পলিসি কমিটি (এমপিসি) ৫০ বেসিস পয়েন্ট (বিপিএস) বাড়িয়ে ৫.৪০ শতাংশ ধার্য করেছে।
শুক্রবার ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের ২৫ তম গভর্নর শক্তিকান্ত দাস মাসিক নীতি সভায় একথা জানান। এক ভিত্তি পয়েন্ট হল এক শতাংশ পয়েন্টের একশত ভাগ।
রেপো রেট এই নিয়ে পর পর দ্বিতীয়বার ৫০ বিপিএস বেড়ে হল ৫.৪০ শতাংশ । তিনবার পলিসি রেটও বাড়িয়েছে আরবিআই।
মুদ্রাস্ফীতি মোকাবেলা করার জন্যই মূলত সারা বিশ্বের প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির মতোই পলিসি রেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে একপ্রকার বাধ্য হয়েছে আরবিআই (RBI)।
রিজার্ভ ব্যাংক গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছেন, “এমপিসির মূল লক্ষ্য হল সম্পূর্ণ ভাবে ভারতবর্ষের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা এবং দেশের অর্থনীতিকে আরও উন্নত করা”।
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রেপো রেট বৃদ্ধি অবশ্যই এক শক্তিশালী অস্ত্র। রেপো রেট বাড়লে ঋণ গ্রহণের সুদ বাড়বে। কার্যকরী মূলধন জোগার করতে সমস্যায় পড়বে কর্পোরেট সংস্থাগুলি। যানবাহন, টেকসই পণ্য, বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে উপভোক্তাদের অনেক বেশি ইএমআই দিতে হবে। ফলে, অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত সব মহলে চাহিদা কমানোর বার্তা যায়। আর চাহিদা কমা মানে, মুদ্রাস্ফীতির চাপও কমবে। তবে ভারতের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এই যুক্তি খাটছে না। কারণ, ভারতের ক্ষেত্রে উচ্চ চাহিদা সমস্যা নয়।
এই রেপো রেট বৃদ্ধির জন্য করোনাকালের শুরুর দিকে দেশের যেই অর্থনৈতিক অবস্থা হয়েছিল ঠিক তার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। যার ফলও ভুগতে হবে এবং মাশুলও গুনতে হবে সাধারণ মানুষকে।
Leave a Reply