সরকারি চাকরিতে বাংলাদেশী নাগরিক? সিবিআইয়ের হাতে আসা নথি ভাবাচ্ছে

নিউজ ডেস্ক– স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে সিবিআইয়ের হাতে। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, অর্থের বিনিময়ে, শুধু চাকরি নয়, শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেটও দেওয়া হয়ে থাকতে পারে।

সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার পর, বহু চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে সিবিআইয়ের। অর্পিতার একাধিক ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা নগদ এবং বহু স্থাবর সম্পত্তির দলিল। পাশাপাশি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত একাধিক নথি। তারই সূত্র ধরে, একাধিক মিডলম্যানের নাম সামনে এসেছে।

তবে এবার তাদের কাছ থেকে পাওয়া কিছু সূত্র বলছে, নিয়োগ দুর্নীতির জল গড়াতে পারে দেশের গণ্ডী ছাড়িয়ে পড়শি দেশেও। সিবিআইয়ের অনুমান করা হচ্ছে, বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে বেশ কিছু বাংলাদেশী নাগরিক চাকরি পেয়ে থাকতে পারে। তবে তাদের ভারতের নাগরিক দেখানোর জন্য, শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল শংসাপত্র দেওয়া হয়ে থাকতে পারে।

সিবিআই সূত্রের খবর, ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া কিছু স্টাডি সেন্টারের নথি সামনে এসেছে, সেইসব স্টাডি সেন্টারগুলি রবীন্দ্র মুক্তবিদ্যালয়ের অনুমোদন প্রাপ্ত। অভিযোগ উঠেছিল, ওই বিদ্যালয়গুলির মাধ্যমে বাংলাদেশীরা টাকার বিনিময়ে শংসাপত্র পেতেন। সেই নথি দেখিয়ে পশ্চিমবঙ্গে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন কিনা, বা চাকরি করছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অতি সম্প্রতি, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন পার্থর ঘনিষ্ট প্রসন্ন রায়। তিনি যে মিডলম্যান হিসেবে কাজ করেছেন, এমনটাই মনে করা হচ্ছে সিবিআইয়ের তরফে। সূত্রের খবর, প্রসন্নর সঙ্গে রবীন্দ্রমুক্ত বিদ্যালয়ের যোগ ছিল।