ছাড় পান না নেতারাও, দুর্নীতি করলে পড়তে কঠিন শাস্তির মুখে

নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক নেতারা দুর্নীতি করবেন এটাই যেন স্বাভাবিক। সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দলের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। এছাড়ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের নামও জড়িয়েছে। অন্যদিকে কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিযোগের আঙুল উঠেছে অভিষেক বন্দ্যোপায়ের দিকে। গরুপাচার কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের দাপুটে নেতা ও বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দিকে। অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আধিকারিকরা। বিরোধীরা দুর্নীতির অভিযোগে সুর চড়ালেও আম জনতার কি যায় আসে। দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা আদৌ কি শাস্তি পায়? পায় না। কিন্তু ইটালিতে প্রতিশ্রুতি ভাঙলে রেহাই পান না নেতারা। পড়তে হয় ভয়ঙ্কর শাস্তির মুখেও।

ইটালির ত্রেন্তো শহরে জনতাকে ঠকানো নেতার জন্য কঠিন শাস্তির বিধান রয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাকে একটি লোহার খাঁচায় ভরে স্থানীয় নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। না তাঁকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয় না। এই অবস্থায় ওই নেতা কানিক হাবুডুবু খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে জনতাই তাঁকে উদ্ধার করে। ত্রেন্তোর এই শাস্তিকে বলা হয় তোনকা।

প্রতি বছর জুন মাসে ‘ভিজিলিয়ান’ উৎসব হয় শহরে। তারই একটি অংশ জনতার আদালতে ভণ্ড নেতার শাস্তির ব্যবস্থা। শুধু রাজনীতিবিদরাই এমন শাস্তির মুখে পড়েন না, স্থানীয় বিখ্যাত ব্যক্তিরা প্রিয় শহরকে হেয় প্রতিপন্ন করলেও একই শাস্তি মুখে পড়তে হয় তাঁদেরও। ২০২২ সালে ২৬ জুনে এই শাস্তি পেতে হয়েছিল ত্রেন্তো-র ব্যর্থ নেতা এবং বিখ্যাত ব্যক্তিদের।