ইউ এন লাইভ নিউজ: শুক্রবার অর্থাৎ ২৬ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে একটি নোটিস জারি করে। যদিও নবান্নের দায়ের করা এই মামলায় বিবাদী করা হয়েছে রাজ্যপালের সচিবকে। তাই তাঁর নামেই ইস্যু হয়েছে নোটিস। রিপোর্ট তলব করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছেও। রাজ্য বিধানসভায় বিল পাশ হওয়া সত্ত্বেও তাতে সই করছেন না রাজ্যপাল। কোনো উপযুক্ত কারণ ছাড়াই ৬টি বিল ২২ মাস ধরে আটকে রয়েছে রাজভবনে। যার মধ্যে আছে হাওড়া ও বালির পুনর্গঠনের বিলও। রাজ্য সরকারের অভিযোগ ৬টি বিল জগদীপ ধনখরের আমল থেকে রাজভবনে পরে আছে। কোনও উপায় না দেখে শেষপর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
রিপোর্ট তলব করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছেও। ২১ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে জবাব দিতে হবে উভয়পক্ষকে। তিন সপ্তাহ পর, আগামী ২০ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি। আর এই নির্দেশের জেরেই এখন নবান্নের আধিকারিকদের দাবি, এই মামলা যদি দ্রুত নিষ্পত্তি হয় তাহলে উৎসব মরশুমের পরে পরেই হাওড়া ও বালিতে নির্বাচন করানোর পথে হাঁটা দেবে রাজ্য প্রশাসন। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া পুরনিগমের ৫০টি ওয়ার্ড এবং বালি পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডে ভোট করানোর ক্ষেত্রে আইনগত কোনও জটিলতা আছে কি না, তা এখন যাচাই করছে প্রশাসন। তৃণমূলের পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। যে মুহুর্ত সুপ্রিম কোর্ট গতকালের মামলায় কোনও রায় দেবে এবং বিলে সই করবেন রাজ্যপাল, তারপরে পরেই হাওড়া ও বালিতে পুরনির্বাচনের পথে হাঁটা দেবে রাজ্য সরকার।
বালি আগা আলাদা পুরসভা ছিল। কিন্তু তৃণমূল জমানায় সেউ বালিকে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে। সেখানকার ৩৫টি ওয়ার্ড পুনর্গঠন করে ১৬টি ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয় এবং এই ১৬টি ওয়ার্ডকে হাওড়া পুরনিগমের ৫০টি ওয়ার্ডের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়। তারপর হাওড়া পুরনিগমের মোট ওয়ার্ডের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিল ৬৬। পরে আবার রাজ্য সরকার বালিকে হাওড়া পুরনিগম থেকে আলাদা করে পৃথক পুরসভা হিসাবে গড়ে তোলার পথে হাঁটা দেয়। সেই নিয়ে রাজ্য বিধানসভাতে বিলও পাশ হয়। কিন্তু সেই বিলেই সই করতে রাজী হননি জগদীপ ধনখড়। এখনও সেই বিল আটকে আছে রাজভবনে।
Leave a Reply