ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাজ্যকে ধূমপান-মুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে একেবারে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে ঋষি-সুনক প্রশাসন। তারই অংশ হিসাবে এবার ধূমপানের আইনি বয়সসীমা বাড়াতে চলেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। বুধবার ম্যানচেস্টারে কনজারভেটিভ পার্টির একটি কনফারেন্সে সুনক জানিয়েছেন, রুটি বছর এই বয়সসীমা এক বছর করে বাড়ানো হবে যাতে ধীরে ধীরে তরুণ প্রজন্মের সিগারেট খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া যায়। এছাড়া ডিজপোজেবল ভেপগুলির সহজলভ্যতা কমানোর জন্যও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে সেদেশের সরকার। সেগুলির প্যাকেজিং এবং ফ্লেভারও সরকার দেখভাল করবে বলে জানানো হয়েছে।তবে আইনে পরিণত হওয়ার আগে এই প্রস্তাব যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে। সুনক জানিয়েছেন, রাজনীতিবিদরা এই প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে নিজেদের বোধ অনুযায়ী ভোট দিতে পারবেন। তিনি আরও জানিয়েছেন,২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যকে সিগারেট-ফ্রি দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এগোচ্ছেন তাঁরা।
তবে তাঁর এই বক্তব্যের পরেই যুক্তরাজ্যে সিগারেটের সবচেয়ে বড় বিক্রেতা ইম্পেরিয়াল ব্র্যান্ডস পিএলসির শেয়ার লন্ডনে ৪.৩% পড়ে গেছে। এছাড়া ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো পিএলসি, যেটির বিক্রি মূলত ব্রিটেনের বাইরের বাজারেই হয়, সেটির শেয়ারও ১.৯% পড়ে গেছে।ব্রিটেনে বর্তমানে সিগারেট কেনার আইনি বয়স ১৮ বছর। এই আইন কার্যকর হলে তা হবে ধূমপান বিরোধিতায় নেওয়া বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপগুলির মধ্যে অন্যতম কঠোর পদক্ষেপ। তবে যুক্তরাজ্য প্রথম নয়, গত বছর নিউজিল্যান্ডে ধূমপান বিরোধিতায় নয়া নিয়ম আনা হয়েছিল। সেই নিয়ম অনুযায়ী ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি কিংবা তারপর জন্মগ্রহণকারী যে কোন ব্যক্তিকে তামাক বিক্রি করা আইনত নিষিদ্ধ। সূত্রের খবর, সুনকও একই পথে এগোনোর কথা ভাবছেন।
এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যের তামাক সংস্থাগুলি বিকল্প ব্যবস্থা বের করার পথে হাঁটছে। ইতিমধ্যেই ই-সিগারেটের বিক্রি বাড়ছে দেশে। সুনক জানিয়েছেন, শিশুদের মধ্যেও ভেপ ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। এমনকী, শিশুদের প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন ই-সিগারেট ব্যবহার করছে। ভেপ ব্যবহার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার আগেই সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুনকের কনজারভেটিভ দল। আগামী বছরে নির্বাচনের আগে উপভোক্তাদের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভেবেছে সুনক (Rishi sunak) সরকার। সিগারেট সংক্রান্ত নীতিগুলি কার্যকর করা সেই পদক্ষেপেরই অংশ। ই-সিগারেটেও লাগাম টানতে চাইছে সরকার। বাচ্চাদের বিনামূল্যের স্যাম্পল হিসেবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষেত্রেই ভেপ বিতরণ করে থাকেন। এই আইনি ফাঁকও জলদি বোজাতে তৎপর সুনক প্রশাসন।
Leave a Reply