নিউজ ডেস্ক : রসেবশে বাঙালি পড়েছে মহা ফাঁপরে। কেন? ১৪ ই নভেম্বর দুই চিরশত্রুর জন্মদিন। রসগোল্লার আবির্ভাব ও ডায়াবিটিস দিবস মিলে গেছে একইদিনে। ফলে অদ্ভুত দোলাচলে পড়েছে বাঙালি। ডায়াবিটিস দিবস মেনে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করবেন নাকি নিয়ম ভেঙে টপ করে এক-আধটা রসগোল্লা মুখে পুরে দীর্ঘদিনের লড়াই জয়ের উদযাপন করবেন, তা নিয়ে বেজাই চিন্তায় রসগোল্লাপ্রেমীরা।
সাদা তুলতুলে রসে ডোবানো ছানার গোল্লার দাবিদার কে? তা নিয়ে ওড়িশা ও বাংলার মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি টক্কর হয় দীর্ঘদিন। অবশেষে ২০১৭ সালে জিআই (জিওলজিকাল আইডেন্টিফিকেশন) আদায় করে বাজিমাত করে বাংলা।সেই থেকেই ১৪ ই নভেম্বর বাংলা জুড়ে পালন করা হচ্ছে রসগোল্লা দিবস। কিন্তু ১৯৯১ সাল থেকেই সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এই একইদিনে বিশ্ব ডায়াবিটিস দিবসও পালন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : Mamata Benerjee: “কাজে ভুল হতেই পারে, তবে তা শুধরে নেওয়াটাই আসল”, পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর
১৪ ই নভেম্বর রসগোল্লা ও ডায়াবিটিসের ‘আঁদায়-কাঁচকলা’র লড়াইয়ের মধ্যেই ডায়েটিশিয়ান ঈশানি ব্যানার্জি জানিয়েছেন, রসগোল্লা খুবই লোভনীয়। সাদা তুলতুলে নরম এই মিষ্টি দেখলেও নিজেকে সামলে রাখা কঠিন। কিন্তু শরীর বুঝে রসগোল্লার স্বাদ নিতে হবে সকলকেই। তবে ডায়েটিশিয়ান বা চিকিৎসকরা যাই বলুক না কেন, লুকিয়ে লুকিয়ে মিষ্টি খাওয়া চলতে থাকুক আর তারই সঙ্গে যত্ন নেওয়া হোক ডায়াবিটিসের।
Leave a Reply