নিউজ ডেস্ক: আবারও প্রকাশ্যে বঙ্গ-বিজেপির গোষ্ঠী-কোন্দল। সেফ-বিজেপি-বেঙ্গল নামের এক গোষ্ঠীর টুইট এই কোন্দলকে আরও উস্কে দিয়েছে। টুইটে বলা হয়েছে, বাংলায় বিজেপি সমর্থক যারা ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হন তারা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না আর দলের কিছু শীর্ষনেতা বিলাসবহুল রিসর্টে প্রশিক্ষণ শিবির আয়োজন করছেন।
সোমবার দলের হেস্টিংস কার্যালয়ের বৈঠকে এই প্রশিক্ষণ শিবির এবং নবান্ন অভিযান নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। এই প্রশিক্ষণ শিবিরের বিষয়টি বৈঠকে উঠতেই একদল বিজেপি নেতারা এর বিরোধিতা করেন। এই বিরোধিতার ফলে আবার কপালে ভাঁজও পড়েছে কিছু বিজেপি নেতাদের। প্রসঙ্গত, ওই বৈঠকে ঢুকতে পারেননি স্বয়ং দিলীপ ঘোষ। প্রকাশ্যে এল বঙ্গ-বিজেপির এক কর্মসূচি।
একদিকে, বাংলায় বিজেপি সমর্থক যারা ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হয়েছিলেন তারা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না। অন্যদিকে আবার দলের কিছু জেলা সভাপতি মাসিক ১৭ হাজার টাকা খোরপোষ বাবদ আয় করছেন। এরই মধ্যেই আবার রাজ্যের বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব বিলাসবহুল বৈদিক ভিলেজ রিসর্টে দু-রাত্রি, তিন-দিন প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেছেন। আয়োজিত এই কর্মসূচির খরচ হচ্ছে ২ কোটি টাকা। আর এই প্রশিক্ষণ শিবিরের কর্মসূচির মুখ্য উদ্দেশ্য হল, প্রধানমন্ত্রীর গরিব দূরীকরণ কর্মসূচি বাংলার গ্রামে গ্রামে তুলে ধরার পরিকল্পনা।
বিজেপি সূত্রে খবর, এই প্রশিক্ষণ শিবিরের জন্য রাজারহাটের বৈদিক ভিলেজের প্রায় ১৫০ কটেজ ও সুইট বুক করেছে রাজ্য-বিজেপি। এমনকী সুপার ডিলাক্স কটেজও বুকিং করা হচ্ছে। মহিলা–নেত্রীদের জন্যও আলাদা কটেজ বুকিং করা হয়েছে। এই বিলাসবহুল রিসর্টের স্পা, সুইমিং পুলও বুকিং করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গরু-পাচারে জামিন না দিলে ফাঁসানো হবে মাদক মামলায় ! বিচারকের নামে হুমকি চিঠি
এই প্রসঙ্গে এক বিজেপি নেতা বলেন,”গরিব মানুষের জন্য কাজ করার যে প্রশিক্ষণ তাতে দু’কোটি টাকা খরচ, একপ্রকার বিলাসিতা। নিজেরাই বৈভবের সমুদ্রে ডুব দিচ্ছে। গরিবের কাজ কী করবে ? এই ঘটনা মানুষের কাছে নিশ্চিতভাবে ভুল বার্তা পৌঁছে দেবে। দু’কোটি টাকা ব্যয় করে এই ‘পিকনিক’ না করলেই ভাল হতো। যখন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির ইস্যুকে নিয়ে আন্দোলন করা উচিত তখন তিনদিনের এই বিলাস–বৈভব একেবারেই ঠিক পথ নয়।”
Leave a Reply