ইউ এন লাইভ নিউজ: প্রয়াত হলেন ইতালির বিশ্বকাপার সালভাতোর স্কিলাচি। মাত্র ৫৯ বছর বয়সেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। ১৯৯০ সালে দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ছটি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে গোল্ডেন বুটের অধিকারী হন। ওই বিশ্বকাপেই লোথার ম্যাথুজ ও দিয়াগো মারাদোনা কে হারিয়ে সেরা ফুটবলার হিসেবে গোল্ডেন বুট পান। দুরারোগ্য ক্যান্সার তাঁকে ছিনিয়ে নিল। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ হয়েছিল ইতালি। আয়োজক দেশ বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করেছিল তৃতীয় স্থানে থেকে। সেমিফাইনালে ১৭ মিনিটে শিলাচির গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইতালি। ৮৭ মিনিটে ক্যানিজিয়ার গোলে সমতা ফেরায় আর্জেন্তিনা। পেনাল্টি শ্যুটআউটে ৪-৩ গোলে জিতে ফাইনালে যায় মারাদোনার দেশ।
এরপর তৃতীয় স্থান নির্ণায়ক ম্যাচে ইতালি ২-১ গোলে হারিয়েছিল ইংল্যান্ডকে। পেনাল্টি থেকে দলের জয়সূচক গোলটি করেছিলেন শিলাচি। সেই ম্যাচে রবার্তো বাজ্জিওর গোলে ইতালি এগিয়ে গেলেএ ৮১ মিনিটে ডেভিড প্লাটের গোলে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। ৮৬ মিনিটে শিলাচির গোল। সালভাতর শিলাচি জনপ্রিয় ছিলেন টোটো নামেও। ইতালি বিশ্বকাপে তাঁর পারফরম্যান্স অমর হয়ে রয়েছে। সেই গোলের পর বিশ্বকাপে তাঁর সেলিব্রেশনের ধরনও জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। ইতালি সেবার চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। কিন্তু সবচেয়ে বেশি গোল করায় সোনার বুট ও টুর্নামেন্টের সেরার পুরস্কার সোনার বলের দখল নিয়েছিলেন শিলাচিই। এতেই বোঝা যায় কতটা দাপট নিয়ে তিনি সেই বিশ্বকাপে খেলেছিলেন।
১৯৯০ সালে ব্যালন ডি’অর রানার-আপ পুরস্কার পেয়েছিলেন শিলাচি। নব্বইয়ের বিশ্বকাপ জেতা পশ্চিম জার্মানির অধিনায়ক লোথার ম্য়াথাউজ পেয়েছিলেন সেবারের ব্যাল ডি’অর পুরস্কার। নব্বইয়ের বিশ্বকাপে ইতালির প্রথম ম্যাচে পরিবর্ত হিসেবে নেমেছিলেন শিলাচি। তাঁর গোলেই অস্ট্রিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল ইতালি। নব্বইয়ের বিশ্বকাপের পর শিলাচি দেশের হয়ে আর একটিই গোল করেছিলেন। তারপর আর কোনও মেজর টুর্নামেন্টে তাঁকে ইতালির জার্সিতে দেখা যায়নি। সিসিলিয়ান ক্লাব মেসিনায় কেরিয়ারের শুরুর দিকে খেলেছেন শিলাচি। ১৯৮৮-৮৯ মরশুমে সেরি বি-তে তিনি সর্বাধিক গোলদাতা হন।
Leave a Reply