ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: এক্কেবারে ধোপে টিকল না পুলিশি বাধা। শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি। সঙ্গে যেতে পারবেন বিধায়ক শংকর ঘোষ। তবে কোনও কর্মী বা সমর্থক যাতে এলাকায় প্রবেশ করতে না পারেন, পুলিশকে সেদিকে নজর দেওয়ার নির্দেশ আদালতের।
আদালতের এই নির্দেশের পর শুভেন্দু বলেন, ‘এটা সন্দেশখালির মায়েদের জয়, তফশিলীদের জয়।’ এটা সন্দেশখালির আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার সকালেই সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সফর সঙ্গী হন শংকর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল, বিশাল লামা, তাপসী মণ্ডল ও সুমিতা সিনহা। তবে এদিনও ফের বাধা দেওয়া হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে।
এর আগে সন্দেশখালির ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বিগ্ন হতে দেখা গিয়েছিল বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়কেও। গত সপ্তাহে তিনি একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও গ্রহণ করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার আবার প্রধান বিচারপতি বলেন, “তিনি একজন জেলা পরিষদের সদস্য। তিনি কোনভভাবেই আইন অমান্য করতে পারেন না। স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় তাঁকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিতে পারি।” নাম না করে এদিন শেখ শাহজাহান প্রসঙ্গে বলেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, “তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ১৮ দিন কেটে গেলেও কিছু হয়নি। জানি না কেউ তাঁকে নিরাপত্তা দিচ্ছে কি না। তাঁকে না ধরলে ১৪৪ ধারা প্রয়োগের কী অর্থ? সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে।”
আদালতের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার সন্দেশখালির পথে রওনা দিয়েও পুলিশি বাধার মুখে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী, শংকর ঘোষেরা। ধামাখালিতে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। বিজেপি-পুলিশের অশান্তিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। রাস্তায় বসে পড়েন বিরোধী দলনেতা। ধামাখালিতে অবস্থান চলাকালীনই পুলিশি বাধার প্রতিবাদে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী। সেখানেই শুভেন্দু অধিকারী ও শংকর ঘোষকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেন প্রধান বিচারপতির। তবে কোনও কর্মী-সমর্থক যেতে পারবেন না সন্দেশখালি। এলাকায় যাতে অশান্তি না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে পুলিশকেই। আদালতের নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই জলপথে ধামাখালি থেকে সন্দেশখালির পথে রওনা হন বিরোধী দলেনতা।
Leave a Reply