Jyotipriyo Mallick

Sandeshkhali: সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শাহজাহানকে জমি দখলের ‘বাঘ’ তৈরির নেপথ্যে বালু?

ইউ এন লাইভ নিউজ: সন্দেশখালীতে জেলবন্দী তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহান শেখকে জমি দখলের ‘বেতাজ বাদশা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তার উত্থানের পেছনে প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (রাজনৈতিক মহলে বালু নামে বেশি পরিচিত তিনি) ছিলেন, তেমনটাই জানা গিয়েছে ইডির সূত্রে। সোমবার, ইডি জমি দখলের মামলায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে আদালতে একটি চার্জশিট দাখিল করেছে, যেখানে বালুর নাম উল্লেখ রয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে রেশন দুর্নীতি কান্ডে শাহজাহানের সাথে বালুর নামও জড়িত ছিল, সেই সূত্র ধরেই ইডি তদন্তকারীরা সরবেড়িয়ায় শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালায়। বালু ও শাহজাহানের মধ্যে সম্পর্ক এখন জমি দখলের মামলায়ও প্রকাশ পেয়েছে।

সূত্রের খবর শাহজাহানের বিরুদ্ধে ইডি-র চার্জশিটে যে বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়েছে তাতে উল্লেখ রয়েছে বালুর হাত ছিল শাহজাহান কে ‘বাঘ’ তৈরির নেপথ্যে। যদিও বাম শাসনামলে সন্দেশখালি এলাকায় শাহজাহানের প্রভাব বাড়তে শুরু করে, তবে বালু যোগের পর তা উল্লেখযোগ্যভাবে আরও বেশি বৃদ্ধি পায়। বালুর সহযোগিতায় শাহজাহান দ্রুত সন্দেশখালীর মাটিতে তার ‘তাজমহল’ নির্মাণ করেন। বালু সরাসরি জমি দখলের সাথে জড়িত না থাকলেও শাহজাহান এ বিষয়ে প্রশ্রয় পেয়েছিলেন কিন্তু প্রাক্তন মন্ত্রীর কাছ থেকেই। ইডি সূত্রে আরও জানা যায়, বালু বিভিন্ন সময়ে শাহজাহানকে সমর্থন করতেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাও বালুর সম্পৃক্ততার পরিমাণ খতিয়ে দেখছে।

রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় পুলিশের হাতে বালুর গ্রেপ্তারের পর শাহজাহানের সঙ্গে তার নাম যুক্ত হয়। সেই সময়, বালু তার মেয়েকে লেখা একটি চিঠি থেকে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছিল এবং চিঠিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের নামও উল্লেখ ছিল বলে ইডির সূত্রে খবর। ইডির সূত্র ধরে সেই সময় জানা গিয়েছিলো যে শাহজাহান বালুর হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিল, সেই টাকা বাংলাদেশে বিভিন্ন সংস্থায় বিনিয়োগ করেছিল শাহজাহান। পাশাপাশি সূত্রের খবর, সন্দেশখালিতে ৯০০ বিঘার উপর জমি লিজ় নিয়ে রেখেছিলেন শাহজাহান। ইডি যে চার্জশিট সোমবার আদালতে জমা দিয়েছে তাতে এই লিজ নেওয়ার ঘটনা উল্লেখ রয়েছে। এমনকি ওই জমি লিজের টাকাও তিনি নিজের ইচ্ছে মতো দিতেন আবার কোনো কোনো সময় হয়তো দিতেন ও না আবার কাকে কত টাকা দেবেন, তা-ও তিনিই ঠিক করতেন। একই সঙ্গে যে টেন্ডার পাশ হত সন্দেশখালিতে, তার দখলও আপনা-আপনিই তাঁর ভাই পেতেন শাহজাহানের ‘প্রভাবে’ বলেও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার ইডি যে চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছে তাতে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে শাহজাহান অবৈধ উপায়ে প্রায় ২৬১ কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন। শাহজাহানের টাকা কোথায় গেল এবং কীভাবে তা বিনিয়োগ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।