নিউজ ডেস্ক: “আরএসএসকে নিয়ে আসতে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হয়েছে। বাংলায় লুঠেরাদের জায়গা নেই। বাংলার পুলিশকে বলছি, রাস্তা বন্ধ করে মিছিল আটকানো যাবে না।” মঙ্গলবার বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের ডাকা ইনসাফ সভা থেকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মহম্মদ সেলিম।
এদিন আনিস খান, সুদীপ্ত গুপ্ত, মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যু, বেকারত্ব বৃদ্ধি সহ রাজ্যের একাধিক দুর্নীতি ইস্যুতে পথে নামে বামেরা। উপস্থিত ছিলেন মহম্মদ সেলিম, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা। ওয়াইচ্যানেলের ইনসাফ সভা করে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই কর্মীরা।
প্রথমে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করার অনুমতি চাওয়া হলেও পুলিশের তরফে তা দেওয়া হয়নি। পরে ওয়াই চ্যানেলের সামনে সভা করার সিদ্ধন্ত নেয় বাম ছাত্র-যুব সংগঠন। এদিন মীনাক্ষী বলেন, “এই সরকার চুরি করে ফাঁক করে দিচ্ছে। জানতাকে আরও জাগতে হবে। “
এদিন দুপুরে শুরু হয় সভা। বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মী-সমর্থকরা এসে জমায়েত করে ধর্মতলায়। তার জেরে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় শহরের প্রাণকেন্দ্র। মধ্য কলকাতাতেও ব্যাপক যানজট হয় দুপুরের দিকে।
হাওড়া, শিয়ালদহ এবং পার্কস্ট্রিট থেকে মিছিল এসপ্ল্যানেডে এসে পৌঁছয়। ফলে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে লেনিন সরণি, এসএন ব্যানার্জী রোড থেকে জওহরলাল নেহরু রোড কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। যদিও এদিনের সভা ঘিরে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: নৃশংস খুন! বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার ৫ বছরের শিশুর, অগ্নিগর্ভ শান্তিনিকেতন
এর আগে বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য-রাজনীতি। আন্দোলনকারীদের আটকাতে রাজ্য পুলিশকে দেখা গিয়েছিল মারমুখী ভূমিকায়। তবে এদিন কোনও পুলিশ কর্তাকে দেখতে পাওয়া যায়নি।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য নেমে যাওয়া বামেরা পরবর্তী উপনির্বাচনগুলি থেকেই ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষ করে দুর্নীতি ইস্যুতে যখন কার্যত কোনঠাসা রাজ্যের শাসক দল, তখন রাস্তায় নেমে বামেদের এই আন্দোলন নতুন করে শক্তিসঞ্চয় করছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
Leave a Reply