ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে ভারতীয় ব্যবসায়ী গৌতম আদানি। দুদিন আগেও যিনি ছিলেন বিশ্বের তৃতীয় সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ী, হটাৎ করেই নেমে এলেন ধনকুবেরদের তালিকার ৭ নম্বরে। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগেই এই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন ভারতীয় ব্যবসায়ী, এমনটাই দাবি মার্কিন শর্ট সেলিং ইনভেস্টমেন্ট রিসার্চ ফার্ম হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ কর্তৃপক্ষের।
সম্প্রতি মার্কিন শর্ট সেলিং ইনভেস্টমেন্ট রিসার্চ ফার্ম হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ কর্তৃপক্ষের এক ১০৬ পাতার রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে অঙ্কের মার প্যাঁচ এবং বিভিন্ন ধরণের কারসাজি করিয়ে সব সংস্থার শেয়ারের মূল্যায়ন খাতায়কলমে আকাশে তুলে রেখেছে আদানি গোষ্ঠী। গত দু’বছর ধরে আদানি গোষ্ঠীর একাধিক প্রাক্তন আধিকারিক-সহ অসংখ্য লোকের সঙ্গে কথা বলে এবং নথি পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন তাঁরা।
তাঁর সংস্থাগুলির শেয়ারমূল্য ১০% পড়ে যাওয়ার পর শুক্রবারও আবার নামল প্রায় ৫-২৫%। আর খোদ আদানিরই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে বাকিদের অবস্থা সহজেই অনুমেয়। শুক্রবার মুম্বই শেয়ারবাজার এক সময়ে ১১০০ পয়েন্টেরও বেশি পড়ে গেলেও দিনের শেষে থামল ৩ মাসের সর্বনিম্ন স্তর ৫৯,৩৩১ পয়েন্টে। যা আগের দিনের থেকে ৮৭৪ পয়েন্ট নীচে। বিপুল ২৮৮ পয়েন্ট নেমে নিফটি তলিয়ে গেল ১৭৬০৪ পয়েন্টে। দু’দিনে ১২ লক্ষ কোটি টাকার সম্পত্তি খোয়ালেন লগ্নিকারীরা।
এদিকে, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ কর্তৃপক্ষের রিপোর্টকে মানতে নারাজ আদানি গোষ্ঠী। পাশাপাশি তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার হুমকিও দিয়েছে তারা। তবে তাতে খুব একটা সুবিধা হয়নি আদানির। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, “আমাদের রিপোর্ট প্রকাশের প্রায় দুদিন কাটতে চললেও আদানি গোষ্ঠীর তরফে একটাও জোরালো প্রমাণ সর্বসমক্ষে আনা হয়নি, যা থেকে প্রমাণ করা যাচ্ছে, আমাদের দাবি একদমই ঠিক। ২ বছর ধরে বানানো ১০৬ পাতার ৩২ হাজার শব্দের ওই রিপোর্ট, যেখানে অন্তত ৭২০টি সাইটেশন রয়েছে, খোঁজ না নিয়ে তড়িঘড়ি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বানানো। আদানি যদি সত্যিই আমাদের রিপোর্টকে ভুল প্রমাণ করতে আগ্রহী হন এবং তাঁর কাছে প্রয়োজনীয় নথিপত্র থাকে, তাহলে তিনি মার্কিন মুলুকে এসে মামলা করতে পারেন। আমাদের রিপোর্টকে সত্যি প্রমাণ করার প্রচুর নথি আমাদের কাছে আছে।”
Leave a Reply