কংগ্রেস সভাপতি: মসনদ দখলের লড়াইয়ে অশোক-শশী, ব্যাটন কি হাতছাড়া রাহুলের?

নিউজ ডেস্ক: প্রথমবার নেহেরু-গান্ধী পরিবারের ছত্রছায়ায় থাকা কংগ্রেস দলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হতে চলেছে জাতীয় সভাপতি নির্বাচন। এই নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই স্পষ্ট হচ্ছে, এই পদের প্রার্থী কে হবেন? রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের পর এবার কংগ্রেস সভাপতি পদের দৌড়ে নেমেছেন শশী থারুরও। এরই মধ্যে রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেস সভাপতি করার দাবিও উঠেছে। যদিও নির্বাচনী ময়দানে রাহুল গান্ধী নামবেন কি না, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত রয়েছে সাসপেন্স। এরই মধ্যে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে কংগ্রেস সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দাবি জানিয়েছেন শশী থারুরও।

সম্প্রতি লোকসভার সদস্য শশী থারুর, সনিয়া গান্ধীর বাসভবনে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি কংগ্রেস সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, শশী থারুর তাঁর ইচ্ছা প্রকাশ করার পর, সনিয়া গান্ধী জানিয়েছেন, একাধিক প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা দলের পক্ষে ভালো। এর কারণে এই নির্বাচনে তাদের ভূমিকা নিরপেক্ষ থাকবে।২৬শে সেপ্টেম্বর কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি নির্বাচনের পদে মনোনয়ন জমা দেবেন শশী থারুর ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। অর্থাৎ এখনও পর্যন্ত শশী থারুর বনাম অশোক গেহলটের ম্যাচ প্রায় নিশ্চিত, তা বলা বাহুল্য।

আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টায় নিম্নচাপের শক্তি বাড়বে, কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস

বর্তমানে দিল্লিতে সনিয়া গান্ধীর বাড়িতে দফায় দফায় চলছে বৈঠক। আলোচনার বিষয় একটাই, কে হবেন দলের পরবর্তী সভাপতি।এরই মধ্যে কংগ্রেসের সাতটি রাজ্য ইউনিট যেমন রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, গুজরাট, বিহার, জম্মু ও কাশ্মীর রাহুল গান্ধীকেই এই পদে পুনঃনির্বাচিত করার দাবি জানিয়ে প্রস্তাব পাস করেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, দলের নেতৃত্ব কি তুলে দেওয়া হবে অ-গান্ধীর হাতে? শেষ পর্যন্ত কি স্বচ্ছ ও বৈধভাবে হবে নির্বাচন? নাকি কমান্ড থাকবে গান্ধী পরিবারের হাতেই? যদিও কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, আগামী ১ অক্টোবর জানা যাবে কারা প্রার্থী। যে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে নির্বাচনে। এটি একটি উন্মুক্ত, গণতান্ত্রিক এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়া। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য কারও অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।

আরও পড়ুন: মীনাক্ষীর ইনসাফ সভা: দলীয় ঝান্ডা, পোস্টার ছাড়াই ধর্মতলায় আসছেন কর্মীরা