ইউ এন লাইভ নিউজ: রক্তক্ষয়ী আন্দোলন শুরু হয়েছে ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে। ছাত্র আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ছে বিভিন্ন শহরে। পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন আবু সাইদ নামে এক ছাত্রনেতা। তারপরেই সেই আন্দোলন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রহত্যার তদন্তের কথা জানিয়েছেন। শেখ হাসিনা বুধবার অর্থাৎ ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছিলেন। আর সেই সভা থেকেই যে সব ছাত্র মারা গিয়েছেন, তাদের মৃত্যুর উপযুক্ত বিচারবিভাগীয় তদন্ত হবে বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চাকরিতে কোটা সংরক্ষণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। তার মধ্যেই চাকরিতে সংরক্ষণের বিরুদ্ধে ফের বাংলাদেশ জুড়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোটা সংরক্ষণ বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি হাইকোর্ট সেই নির্দেশকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছে। চাকরি ক্ষেত্রে কোটা ফিরিয়ে আনার পক্ষে বক্তব্য রাখা হয়েছে। সরকার হাইকোর্ট রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। আর তার মধ্যেই শুরু হয়েছে এই আন্দোলন। ঢাকা, রংপুর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের তীব্র ঢেউ দেখা গিয়েছে এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে। পুলিশকে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে গুলি চালাতে হয়। আবু সাইদ নামে ওই ছাত্রনেতা মারা যান। সেই ভিডিও ইন্টারনেটে এখনও ভাইরাল হয়ে চলেছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ইউএন লাইভ বাংলা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের মৃত্যুর পর বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যারা হত্যা, লুটপাট, হিংসা ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই কথা হাসিনা জানিয়েছেন। এখনও অবধি পাওয়া খবরে বাংলাদেশে ছয় আন্দোলনকারী ছাত্র মারা গিয়েছেন। বহু আন্দোলনকারী, বিক্ষোভকারী জখম। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৮ জুলাই দেশজুড়ে আন্দোলন, হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্র হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। সেই কারণে সকলকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, হস্টেলে থাকছেন। বৃহস্পতিবারের হরতালে হাসপাতাল ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবা চালু রাখা হবে। কোনও অ্যাম্বুলেন্স রাস্তায় আটকানো হবে না। এই কথাও আন্দোলনকারীদের থেকে জানানো হয়েছে।