Sheikh Shahjahan

Sheikh Shahjahan: ইডির আর্জি মেনে নিল হাইকোর্ট, ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ইডি হেফাজতে শেখ শাহজাহান

ইউ এন লাইভ নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নিতে তৎপর ছিল ইডি। সেই আর্জি জানিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল তাঁরা। সোমবার সেই আবেদনই মান্যতা পেল। সন্দেশখালি কাণ্ডের মূল অভিযুক্তকে ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হল। ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ইডি হেফাজতে থাকবেন শাহাজাহান।

কীভাবে কালো টাকা সাদা করা হত, সেই সংক্রান্ত তথ্যও এদিন আদালতে তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। ইডির তরফে আদালতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির আইনজীবী সন্দেশখালির পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জানান, নিজের লোকেদের ভেড়ির মালিক বানানো হত। তারপর তাদের থেকে চিংড়ি মাছ কেনাবেচা করা হত। গোটা বিষয়টাই নগদে হত বলে দাবি ইডির আইনজীবীর।

একটি সংস্থার নামও এদিন আদালতে জানান কেন্দ্রীয় এজেন্সির আইনজীবী। সেই সংস্থার মাধ্যমেই টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকানো হত। এইভাবেই কালো টাকা সাদা করা হত বলে জানান ইডির আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘শুধু সন্দেশখালি নয়, গোটা ভারতের স্বার্থে শাহজাহানকে ইডি হেফাজতে পাঠানো হোক।’ শেষে আদালত এদিন শেখ শাহাজাহানকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

গত ৩০ মার্চ, শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করে ইডি। এবার তাঁকে হেফাজতে চেয়ে আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সোমবার সকালে আইনজীবী আদালতে জানান, “গত ৩০ মার্চ শাহজাহানকে শোন অ্যারেস্ট করা হয়েছিল। সেখানে আমরা ধৃতকে জেরা করি। সেদিন তাঁকে সমস্ত নথিপত্র দেখিয়ে জেরা করা হয়। কিন্ত প্রতি ক্ষেত্রে উনি নথিপত্রকে অস্বীকার করেন। বেশ কয়েকজনের নাম উঠে আসে। যত সময় যাবে সন্দেহভাজনরা নাগালের বাইরে চলে যাবে। পালিয়ে যেতে পারে।” সে কারণে সোমবারই তাঁকে আদালতে হাজির করার নির্দেশের আর্জি জানায় ইডি। কিন্তু কীভাবে বসিরহাট জেলে বন্দি এত তাড়াতাড়ি শাহজাহানকে ইডির বিশেষ আদালতে পেশ করা সম্ভব, পালটা প্রশ্ন করেন বিচারক। ইডির তরফে জানানো হয়, মাত্র ২ ঘণ্টার রাস্তা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সওয়াল জবাব শোনার পর তাঁকে আজ বিকেল চারটের মধ্যে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এছাড়াও, সন্দেশখালি-সহ বসিরহাট এলাকায় তিনটি খুনের ঘটনায় শেখ শাহজাহান জড়িত রয়েছেন। এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। মামলাকারীদের বক্তব্য, ওই তিন ঘটনায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও তখন চার্জশিট থেকে তাঁর নাম বাদ যায়। ফলে শাহজাহানকে বাদ রেখেই ট্রায়াল শুরু হয়েছে। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৭ জানুয়ারি বিচার প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। সোমবার আদালতে মামলাকারীদের আইনজীবীর দাবি, ওই ঘটনায় অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিচ্ছে পুলিশ। এর পরেই আদালত পুলিশের ওই ভূমিকার সমালোচনা করে।