Kangana Ranaut

Kangana Ranaut: শিন্ডেকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ তোপ শঙ্করাচার্যর! পাল্টা জবাব দিতে মাঠে নামলেন কঙ্গনা

ইউ এন লাইভ নিউজ: মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে পরোক্ষভাবে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে আক্রমণ করলেন শঙ্করাচার্য। এর পালটা জবাব দিতে ময়দানে নামলেন কঙ্গনা রানাউত। অভিনেত্রী বরাবরই স্পষ্টভাষী যার জেরে একাধিকবার বিতর্কের শিরোনামে এসেছেন তিনি। বর্তমানে হিমাচল প্রদেশের মান্ডির সাংসদ তিনি। সনাতন হিন্দুধর্মের কথাও শোনা গিয়েছে কঙ্গনার মুখে। এবার সেই তারকা সাংসদই কিনা বদ্রী জ্যোতির্মঠের শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দকে আক্রমণাত্মক শুরে প্রশ্ন ছুঁড়লেন, ‘রাজনীতিবিদরা কি ফুচকা বিক্রি করবে?’

সম্প্রতি আম্বানিদের বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে। সেই বিয়ের আমন্ত্রণ রক্ষা করতেই মুম্বইতে পৌঁছেছিলেন শঙ্করাচার্য। ১৩ জুলাই মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের অনুরোধে শুভ আশীর্বাদ অনুষ্ঠানে অনন্ত-রাধিকাকে আশীর্বাদের পরই তিনি তাঁর বাড়িতেও যান। সেখানেই শঙ্করাচার্যকে বলতে শোনা যায়, “উদ্ধব বড় ধরনের বিশ্বাসঘাতকতার শিকার। যাঁরা বিশ্বাসঘাতকতা করেন, হিন্দুধর্ম তাঁদের মেনে নেয় না। এবং যিনি এই বিশ্বাসঘাতকতা করেন, তিনি হিন্দু হতে পারেন না। মহারাষ্ট্রের মানুষ উদ্ধবকে আবারও মুখ্যমন্ত্রীর সিংহাসনে বসিয়ে এই বিশ্বাসঘাতকতার জবাব দেবেন।” যদিও তিনি কারোর নাম উল্লেখ করেননি তবে তিনি যে বর্তমান মহা-মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকেই আক্রমণ করেছেন তা স্পষ্টতই বোঝা গেছে। এবার সেই প্রেক্ষিতেই বদ্রী জ্যোতির্মঠের শঙ্করাচার্যের উদ্দেশে তোপ দাগলেন কঙ্গনা রানাউত। তারকা সাংসদ আক্রমণাত্মক সুরে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “রাজনীতিতে এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। রাজনৈতিক দলে আকছার ভাঙাগড়া চলতেই থাকে। ১৯০৭ সালে কংগ্রেসও ভেঙেছিল। তার পরে আবারও ১৯৭১ সালে ভেঙেছিল কংগ্রেস। রাজনীতিবিদেরা যদি রাজনীতি না করেন, তাহলে করবেনটা কী? তাঁরা কি ফুচকা বিক্রি করবেন? তাছাড়া ধর্মেই বলা আছে, রাজা যখন অত্যাচারী হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার শুরু করে, তখন বিশ্বাসঘাতকতাই একমাত্র আশ্রয়।” শঙ্করাচার্য এবং উদ্ধবকে শিন্ডের পাশে দাঁড়িয়ে কঙ্গনা যে পালটা এক ঢিলে বিঁধলেন,তা বলাই যায়।