নিউজ ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনে নয়া মোড়। জামিন চেয়েও পিছু হটল আফতাব। এবার শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুন মামলায় জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করল খোদ শ্রদ্ধা খুনে অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। আদালতে আফতাবের জামিনের আবেদন তার আইনজীবীর তরফ থেকে করা হয়। আদালত এই ক্ষেত্রে আফতাবের সম্মতির কথা জিজ্ঞাসা করলে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করেন আফতাব। আফতাবের আইনজীবী এমএস খানের দাবি, আফতাবের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ায় এই আবেদন দাখিল করা হয়েছিল।
শ্রদ্ধা হত্যায় অভিযুক্ত আফতাবের তরফে দিল্লির সাকেত আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানির সময়, আদালত বলে যে আফতাবের সম্মতির জন্য ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজির করতে হবে। আফতাব আদালতে হাজির হয়ে বলেন যে তিনি তার আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে চান। তবেই তিনি জামিনের আবেদন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার পর আফতাব আদালতকে জানিয়েছেন, তিনি আপাতত জামিনের আবেদন করতে চান না। আফতাব একটি ইমেলের মাধ্যমে আদালতকে জানিয়েন তার আইনজীবী তার জামিনের আবেদন করতে যাচ্ছেন তা তিনি জানেন না।
শুনানির সময় আফতাবের আইনজীবী জানিয়েছেন, সোমবার আফতাবের সঙ্গে ৫০ মিনিট কথা বলার পর জামিন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে, আফতাবের আইনজীবী আদালতে ক্ষমাও চান। বলেন, `এখন থেকে কোনও মিস কমিউনিকেশন হবে না’। অবশেষে সাকেত আদালত আফতাবকে জামিনের আবেদন প্রত্যাহারের অনুমতি দেয়।
অন্যদিকে, দিল্লির পাশাপাশি মহারাষ্ট্রেও শ্রদ্ধা মামলার তদন্তের সিদ্ধান্ত। সিট তদন্তের ঘোষণা করেছেন উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। আফতাবের সঙ্গে বাড়ি ছাড়ার পর মহারাষ্ট্রেই থাকতেন দুজনে। সেই সময় আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনে মুম্বইয়ের ভাসাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শ্রদ্ধা ওয়ালকার। মাস খানেক পরে অভিযোগ প্রত্যাহারও করে নেন। তবে, এই সময়ের মধ্যেও কোনও ব্যবস্থা করেনি পুলিশ, এমনটাই অভিযোগ ছিল শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ ওয়ালকারের।