ইউ এন লাইভ নিউজ: নিয়োগ মামলায় বিরাট রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি চলে গেছে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবে বলেছে। সোমবার রায়গঞ্জের প্রচার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই রায়কে বেআইনি বলে দাবি করেন। তবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বলছেন, অযোগ্যদের চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেওয়া হয়েছিল! বালুরঘাটের সভা থেকে এই বিস্ফোরক দাবি করেন শুভেন্দু। সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে সোমবার বালুরঘাটে সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে কলকাতা হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”কলকাতা হাইকোর্ট একটি ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে। যাদের চাকরি চলে গেছে তাদের নিয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই। এদের সামনে দোকান খুলে চাকরি বিক্রি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর সাগরেদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ৩০ লক্ষ চাকরিপ্রার্থীর যারা সর্বনাশ করেছেন তাদের সর্বনাশ হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে।”
এত বেআইনি নিয়োগ তাহলে হল কীভাবে, সেই বিষয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, চোরদের নিয়োগ করার জন্য বাড়তি পোস্ট তৈরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২২ সালের ৫ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে! শুভেন্দু বলেন, ”২০২২ সালের ৫ মে ক্যাবিনেটে যারা উপস্থিত ছিল তাদের সবাইকে অবিলম্বে সিবিআই কাস্টডিতে নেওয়ার দাবি করি।” রায়গঞ্জের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবারই বলেছেন, ”এটা বেআইনি অর্ডার। আমরা এটা নিয়ে উচ্চ আদালতে যাচ্ছি।” চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, যাদের চাকরি যাওয়ার কথা বলেছে, তাদের বলছি, আমরা সবাই আপনাদের পাশি আছি। চিন্তা করবেন না, হতাশ হবেন না। কেউ জীবনের ঝুঁকি নেবেন না।” তারই কার্যত পাল্টা দিয়ে বালুরঘাট থেকে শুভেন্দুর খোঁচা, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোরেদের রানি, এখন উন্মাদের মতো চিৎকার করছেন। বলছেন রায় মানি না। আপনাকে মানতে হবে না। আর কোনও প্রমাণের অপেক্ষা নেই, তৃণমূল চোর।”
কলকাতা হাইকোর্ট সোমবারের রায়ে স্পষ্ট জানিয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং শিক্ষা দফতরের যে সব অফিসাররা এই নিয়োগ কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, অর্থাৎ প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও যে অফিসাররা নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়েছিলেন, সিবিআই চাইলে তাঁদের হেফাজতে নিতে পারবে। শুভেন্দু অধিকারীর এই প্রেক্ষিতেই দাবি, বেআইনি নিয়োগ করতে অনেক অতিরিক্ত পদ তৈরি (সুপারনিউমেরিক পদ) করা হয়েছিল মন্ত্রিসভার বৈঠকেই। অভিযোগ, নিয়োগ করার মতো পর্যাপ্ত শূন্যপদ ছিল না। এসএসসিতে টাকার বিনিময়ে যাঁরা বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদেরই চাকরি দিতে এই পদ তৈরি করা হয়েছিল।
Leave a Reply