ডেস্ক- বর্ষা এলেই রোগের প্রকোপ বাড়তে থাকে। তাই অনেকেই অভ্যাস বশত বৃষ্টি ভেজা দুপুরে এক কাপ গরম চা সঙ্গে তেলে ভাজা খেতে শুরু করেন, আর এখানেই আসে বিপদ। যে কোনও ধরনের তেলে ভাজাযুক্ত খাবার ডেকে আনতে পারে শরীরের মারাত্মক রোগ।
অম্বল ও গ্যাসের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তেলে ভাজা জাতীয় খাবার থেকে। বর্ষায় সহজে কোনও খাবার হজম হতে চায় না। ফলে চপ, পেঁয়াজিসহ যে কোনও ভাজাভুজি খাবার হজম হয় না বলেই দেখা দেয় একাধিক সমস্যা।
হজমের সমস্যা মূত বেশি হয়ে থাকে তেল থেকে কারণ প্রায় প্রত্যেকটি খাবারে কম বেশি তেলের প্রয়োজন হয়। আর ভাজাভুজি জিনিসে, সব থেকে তেল বেশি ধরে রাখে। এই ধরনের খাবারে তেল থেকে ট্রান্স ফ্যাট তৈরি হয়। যা শরীরের এলডিএলের মাত্রা বাড়ায়। এলডিএল বা লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন খারাপ কোলেস্টেরল হিসেবে চিহ্নিত করে থাকে।
বর্ষায় জীবণু সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে বেশি। চারিদিকে স্যাঁতসেতে পরিবেশ ও জলের কারণে জীবাণু বেশি বাড়ে। এর ফলে, রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও কিছু কমে যায়। ফলে সুস্থ থাকতে চাইলে সঠিক খাদ্যাভ্যাস জরুরি।
ভাজাভুজি খাবার বেশি মাত্রায় খেলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে ৮৫ শতাংশ মানুষ যে হার্টের সমস্যায় ভোগেন তার অন্যতম কারণ ভাজাভুজি খাবার । অল্প বয়সেরই করোনারি হৃদরোগ, কার্ডিও মায়োপ্যাথি, উচ্চ রক্ত চাপ জনিত হার্টের রোগ, হার্টে ফেলিওর, হৃদপিণ্ডের ডান পাশ অচল হয়ে পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
কোলেস্টেরল বেড়ে যায় ভাজাভুজি থাকে। এর কারণে কার্ডিওভ্যাস্কুলারের সমস্যা দেখা দেয়। তাই খাদ্যাতালিকায় ভাজা খাবারের বদলে রাখুন সবজি ও ফল। এমন খাবার খান যা আপনার শরীরে সকল ঘাটতি পূরণ করে শরীর সুস্থ রাখবে। তাই এই বর্ষার প্রচুর সবজি ও ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন।
বর্ষার মরশুমে ডিম খেতে পারেন। এতে প্রচুর প্রোটিন থাকে। যা শরীর সুস্থ রাখার সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। জীবাণুর সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে । রোজ সকালে ব্রেকফাস্টে একটি করে সেদ্ধ ডিম খেতে পারেন।
Leave a Reply