ইউ এন লাইভ নিউজ: মহারাষ্ট্র সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধুমধাম করে গণেশ পুজো পালিত হয়। আর এখন যত দিন যাচ্ছে বাংলায় গণেশ পুজো নিয়ে উন্মাদনা বাড়ছে। হিন্দুধর্ম মতে, গণপতি বাপ্পা হলেন বুদ্ধি এবং জ্ঞানের দেবতা। ভক্তিভরে সিদ্ধিদাতাকে পুজো করা হলে খুব তুষ্ট হন তিনি। কিন্তু গণেশের পুজো করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা দরকার। গণেশ পুজোয় কী-কী কাজ করবেন না, রইল টিপস।
তুলসি পাতা: পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, গণেশের পুজোতে তুলসী পাতা ব্যবহার করা হয় না। কথিত আছে, গণেশ তুলসিকে অভিশাপ দিয়েছিল যে তাঁর পুজোয় তুলসি পাতা ব্যবহার করা চলবে না। গণেশের পুজোয় দূর্বা ঘাস ব্যবহার করতে হয়।
চন্দ্র: গণেশের সঙ্গে চন্দ্রের সম্পর্ক ভাল নয়। কথিত আছে, চন্দ্রদেব একবার গণেশের রূপ নিয়ে উপহাস করেছিলেন। ওই সময় গণেশ চন্দ্রকে অভিশাপ দেয় যে তাঁর সৌন্দর্যে কলঙ্ক দেখা যাবে। তাই গণেশের পুজো কোনও সাদা পণ্য ব্যবহার করা হয় না। সাদা চন্দনের পরিবর্তে হলুদ চন্দন, সাদা কাপড়ের পরিবর্তে হলুদ কাপড় ও হলুদ সুতো ব্যবহার হয়। এমনকি গণেশ পুজোয় চন্দ্র দেখাও শাস্ত্রে নিষিদ্ধ।
ভাঙা চাল: সনাতন ধর্ম মতে, ধানের কখনওই ক্ষয় হয় না, অক্ষত থাকে। ভগবান গণেশের পুজোয় ভাঙা চাল ব্যবহার করা যায় না। আপনাকে গোটা চালই নিবেদন করতে হয় গনেশকে।
কেতকী ফুল: শিবের পুজোয় যেমন কেতকী ফুল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ, তেমনই গণেশের পুজোতেও এই ফুল নিবেদন করা চলবে না। গণেশ পুজোয় হলুদ রঙের ফুল নিবেদন করা যেতে পারে।
বাসি ফুল: গণেশের পুজোয় ভুলেও বাসি ফুল ব্যবহার করা যাবে না। সবসময় তাজা ফুল ব্যবহার করুন। শুকনো বা শুকিয়ে যাওয়া ফুল দিয়ে গণেশের পুজো করলে দেবতা ক্রুব্ধ হতে পারেন। পাশাপাশি বাস্তুদোষ দেখা দিতে পারে। বাড়িতে নেগেটিভ শক্তি বাড়তে থাকে।
Leave a Reply