নিউজ ডেস্ক: বুধবার থেকে বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে রাজ্য বিধানসভায়। সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যপালের বক্তৃতা দিয়ে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। রাজ্যপালের সেই বক্তৃতা লিখে দেয় রাজ্য সরকার। রাজ্য মন্ত্রিসভায় সেই বয়ান অনুমোদিত হওয়ার পরেই বিধানসভা অধিবেশনে পড়েন রাজ্যপাল।
কিন্তু গত দুবছরে সেই রেওয়াজ ভেঙেছে। দেখা গিয়েছে, শেষ দুটি বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের বয়ান নিয়ে নবান্ন ও রাজভবনে টানাপোড়েন চলেছে। নবান্নের লিখে দেওয়া বয়ান হুবহু পড়বেন না রাজ্যপাল। রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া বয়ানে রাজ্যপাল তাঁর মনের মতো শব্দ ঢোকাবেন বা বাদ দেবেন। এই নিয়ে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। এই পরিস্থিতিতে বাজেট অধিবেশনে ধনকড়কেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইত না রাজ্য প্রশাসন।
বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপাল যে বক্তৃতা পাঠ করেন তাতে মূলত সরকারের সাফল্যের কথা থাকে। সরকার তা মানুষকে জানাতে চায়। কয়েক দিন আগে সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। তার আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু যৌথ অধিবেশনে সরকারের লিখে দেওয়া বক্তৃতা পাঠ করেছেন। তার ছত্রে ছত্রে লেখা ছিল মোদী সরকার কত ভাল করছে। আর তা সরাসরি বৈদ্যুতিন মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়েছে।
বুধবার বাজেট অধিবেশনে তাঁর বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচারের অনুমতি দিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকার যা লিখে দিয়েছেন, সম্ভবত সেটাই পাঠ করবেন সিভি আনন্দ বোস।
Leave a Reply