নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ধৃত। হারিয়েছেন মন্ত্রীত্ত্ব। দল পাশে নেই। ফ্ল্যাট ভর্তি কোটি কোটি টাকা হয়েছে বাজেয়াপ্ত। নতুন ঠিকানা হয়েছে জেল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানির জন্য বিশেষ আদালতে (পিএমএলএ) আবেদন জানালেন প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ। লিখিত আবেদনে জানানো হয়েছে, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর নিরাপত্তা জনিত কারণেই এই পদক্ষেপ নেওয়া। সূত্রের খবর, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়-কেও সশরীরে আদালতে হাজির হতে হচ্ছে না।
প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষের এই আবেদনে মঙ্গলবার বিশেষ আদালত সম্মতি করেছে। আগামী ৩১ অগস্ট পার্থ-অর্পিতা সশরীরে আদালতে হাজির হচ্ছেন না। হাজিরা দেবেন ‘ভার্চুয়ালি’।
৩১ অগস্ট পার্থ-অর্পিতার ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষ হচ্ছে। এরপরই তাঁদের আদালতে পেশ করার কথা। জানা যাচ্ছে, আলিপুর মহিলা সংশোধনাগার ও প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের তরফে একটি বিশেষ আবেদন করা হয়। মূলত, নিরাপত্তাজনিত কারণেই পার্থ-অর্পিতাকে ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করানোর দাবি। কারণ সংশোধনাগার থেকে পিএমএলএ আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জুতো ছোড়া এবং অর্পিতার উদ্দেশ্যে কটূক্তি করার অভিযোগ উঠেছে। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়েই এই আবেদন করা হয়েছে জেল কর্তৃপক্ষের তরফে।
আরও পড়ুন : বোলপুরের জমি রেজিস্ট্রি অফিসে সিবিআই হানা ! চলছে নথি যাচাই পর্ব
পার্থকে সশরীরে হাজিরা থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য সোমবার চিঠিটি লিখেছিলেন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপার। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘সশরীরে হাজির হলে নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলার গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যদিও পার্থের আইনজীবী জানান, তাঁরা প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপের সঙ্গে অসন্তুষ্ট। প্রয়োজনে আদালতে সেই অসম্মতির কথা জানাবেন তিনি।
আরও পড়ুন : অ্যালোপ্যাথির বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় সুপ্রিম কোর্টে ধমক খেলেন বাবা রামদেব
প্রসঙ্গত, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়। পার্থ-অর্পিতার অগাধ সম্পত্তির হদিস পাওয়া গেছে দক্ষিণ ভারতের বেঙ্গালুরুতেও! এই দাবি করেছেন ইডি-র তদন্তকারীরা। পার্থর প্রাক্তন কর্মস্থলের অবসরপ্রাপ্ত এক ফিনান্স অফিসার সম্পত্তি কেনায় সাহায্য করেন বলেও জানা গেছে। ইডি সূত্রের খবর, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ৬টি ফ্ল্যাট, ৩০ একর জমি, খামারবাড়ি ও বাংলো কেনা হয় বলে ইডি-র দাবি।
আরও পড়ুন : ধর্ষকদের মুক্তি: গুজরাট সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম করতে মহুয়া
Leave a Reply