ইউ এন লাইভ নিউজ: লোকসভা নির্বাচনের আবহে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা নিজেদের দলের প্রচারে বেড়চ্ছেন এবং তার মাঝেই তারকা প্রার্থীরা নিজেদের গন্ডি থেকে বেরিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষদের কাছে। সেরকমই এক চিত্র ফুটিয়ে তুললেন রচনা ব্যানার্জী। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে খেলা ঘোরাতে প্রচারে কোনও খামতি রাখছেন না তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। রোড শো, সভা ছাড়াও এবার ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় দেখা গেল দিদি নম্বর ওয়ানকে। লোকাল ট্রেনে যাত্রা করার সেরকম সুযোগ হয়ে ওঠে না, প্রচারে গিয়ে রচনার অকপট স্বীকারোক্তি, ‘কতদিন পর ট্রেনের টিকিট দেখলাম।’ শনিবার সাত সকালে ব্যান্ডেল স্টেশনে প্রচার সারলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
টিকিট কেটে লোকাল ট্রেনে জনসংযোগ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আজ সকালে ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে হাওড়া গামী লোকাল ট্রেনে ওঠেন হুগলির তৃণমূলপ্রার্থী। সঙ্গে ছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। টিকিট কেটে ট্রেনে ওঠেন সকলে। রচনা হাতে টিকিট নিয়ে বলেন, ‘কতদিন পর ট্রেনে উঠলাম। ট্রেনে চাপতে আমার খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে দূরপাল্লার ট্রেনে শুতে ভালো লাগে।’ ব্যান্ডেল থেকে হুগলি চুঁচুড়া চন্দননগর প্রতিটি স্টেশনে নেমে যাত্রীদের সঙ্গে জনসংযোগ করেন। ট্রেনের ভিতরেও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন, পরিচিত হন। রচনা জানান, তিনি রোড শো করছেন বিভিন্ন জায়গায় সেখানে হয়ত হুগলির ভোটার যাঁরা চাকরি করেন, কলকাতায় যান তাঁরা থাকতে পারেন না। তাই তাঁদের সঙ্গে দেখা করতেই ট্রেনে স্টেশনে জনসংযোগ-এর আয়োজন।
যাত্রীদের অনেকের আবদার মেটালেন সেলফি তুলে। ভেন্ডার কামরায় সব্জি নিয়ে যাওয়া চাষিদের সঙ্গেও কথা বলেন। চন্দননগর স্টেশনে নেমে চা খান। সেখানে চন্দননগর হাসপাতালের এক চিকিৎসক রচনাকে গান শোনান। ব্যান্ডেলের বাসিন্দা কুসুম ঘরামি নামে এক মহিলা দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে গিয়েছিলেন। দিদি নম্বর ওয়ান প্রচারে আসছেন শুনে তিনিও চলে আসেন। রচনার সঙ্গে ট্রেনে ঘোরেন। নাচ করে দেখান।
Leave a Reply