ইউ এন লাইভ নিউজ: একটি ধর্মীয় জমায়েতে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় ১২০ জনের বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছে। বুধবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবং আহতদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে যান উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ঘটনাটি দুর্ঘটনা না ষড়যন্ত্র তা নির্ধারণ করতে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘রাজ্য সরকার হাতরাসের ঘটনার সত্য উদঘাটনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই ধরনের ঘটনায় শোকপ্রকাশ না করে রাজনীতি করাটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।’ সরকার বিষয়টি নিয়ে সংবেদনশীল বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘সরকার বিষয়টির একেবারে তলায় গিয়ে তদন্ত করবে এবং ঘটনায় দায়ীদের উপযুক্ত শাস্তি দেবে।’
মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের এদিন বেলা গড়াতেই হাথরসের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘আমি এই ঘটনা নিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করি। নির্দেশ দিই এই ঘটনায় যে বা যাঁরা জড়িত রয়েছে, তদন্ত করে যার নামই সামনে আসুক না কেন, তাঁকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। এই ঘটনার পর কোনও অনুনয়, বিনয় কাজে দেবে না। দোষী গ্রেফতার করাই পুলিশে একমাত্র লক্ষ্য। এটি বিচার বিভাগীয় কমিটির দ্বারা তদন্ত হবে। যার নেতৃত্বে থাকবেন হাইকোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, থাকবেন বেশ কয়েকজন পুলিশ প্রশাসনের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকরা এবং রাজ্য পুলিশের আধিকারিকরা।’
বুধবার বেলা গড়াতেই হাথরসের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আমি এই ঘটনা নিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করি। নির্দেশ দিই এই ঘটনায় যে বা যাঁরা জড়িত রয়েছে, তদন্ত করে যার নামই সামনে আসুক না কেন, তাঁকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। এই ঘটনার পর কোনও অনুনয়, বিনয় কাজে দেবে না। দোষী গ্রেফতার করাই পুলিশে একমাত্র লক্ষ্য। এটি বিচার বিভাগীয় কমিটির দ্বারা তদন্ত হবে। যার নেতৃত্বে থাকবেন হাইকোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, থাকবেন বেশ কয়েকজন পুলিশ প্রশাসনের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকরা এবং রাজ্য পুলিশের আধিকারিকরা।
এদিকে বুধবার ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ডগ স্কোয়াড ঘটনাস্থলে যায়। ফরেনসিক দল এলাকা থেকে প্রমাণও সংগ্রহ করে। ঘটনাস্থলে এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ অনুসন্ধান চালিয়েছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে এডিজি আগ্রা এবং আলিগড় বিভাগীয় কমিশনারের সমন্বয়ে একটি দল গঠন করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশ সরকার জানিয়েছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এদিক উত্তর প্রদেশ সরকার জানিয়েছে, মঙ্গলবার সৎসঙ্গ চলাকালীন পদদলিত হয়ে মৃত্যু হওয়া ১২১ জনের অধিকাংশকেই শনাক্ত করা গিয়েছে। বাকি মৃতদেহগুলিকেও শনাক্তকরণের চেষ্টা চলেছে। মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও প্রতিবেশী রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ভক্তরা এসেছিলেন।
মঙ্গলবার সৎসঙ্গের অনুষ্ঠান শেষের সঙ্গে সঙ্গে ভক্তরা ভোলে বাবার পা ছোঁয়ার চেষ্টা করলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। ভক্তরা বাবা পায়ের আশপাশ থেকে মাটি সংগ্রহ করতে চেয়েছিল। জেলা প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানটি ছিল ব্যক্তিগত। জেলাশাসক জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রশাসন অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে নিরাপত্তা দিয়েছিল। ভিতরের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছিল আয়োজকরা।
Leave a Reply