নিউজ ডেস্ক : আশঙ্কাই কি তবে সত্যি হল? হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিয়োগে বাধা হয়ে দাঁড়ালো সমকামীতা? সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুসারে বৈধ ‘সমকামীতা’ই কি কেন্দ্রীয় সরকারের চোখে অপরাধ? মোদি সরকারের পক্ষ থেকে, সমকামী হিসেবে পরিচিত আইনজীবী সৌরভ কিরপালসহ ২০ জন বিচারপতির নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল ফেরত পাঠাতেই উঠেছে প্রশ্ন।
কলেজিয়াম ইস্যুতে অব্যাহত রয়েছে সরকার এবং সুপ্রিম কোর্টের দ্বন্দ্ব। ফলে দীর্ঘদিন ধরে সুবিচারের অপেক্ষায় খোদ বিচারপতিরাই। সরকারের পক্ষ থেকে বিচারপতির নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল ফেরত পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, ‘সুপ্রিম কোর্টকে ২০ জনের নাম পুনরায় বিচার বিবেচনা করতে হবে।’ এই ২০ জনের মধ্যেই রয়েছেন আইনজীবী সৌরভ কিরপাল। যদিও তিনি আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, তাঁর সমকামীতার কারণেই তাঁকে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ করা হবে না।
এনভি রমানা প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন সৌরভ কিরপালের নাম দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে মনোনীত করা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত চারবার হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে মনোনীত হলেও, আইনজীবী সৌরভ কিরপালকে নিয়োগ করা হয়নি। বারবার ফেরত পাঠানো হয়েছে ফাইল। আর তার জন্য তাঁর সমকামীতাই দায়ী বলে আশঙ্কা করেছেন অনেকেই। এর পাশাপাশি আইনজীবী সৌরভ কিরপালের সঙ্গী বিদেশি, ফলে নিরাপত্তার কারণেও এই সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
বিচারপতি নিয়োগের ফাইলে সম্মতি না দিয়ে, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন কমিটি অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম পদ্ধতি নিয়ে বেশ কয়েকবার প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। গত সপ্তাহেই তা নিয়ে প্রশ্নও তোলা হয় সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে। এরপরই ফের সরব হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের যদি এত তাড়া থাকে তাহলে তারা নিজেরাই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে নিক।’ এরপরই কিরেন রিজেজুর প্রতিক্রিয়ার উষ্মা প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত। এরই মধ্যে ২০ জন বিচারপতির নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল ফেরত পাঠানোই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
আরও পড়ুন : মোদি-শাহ ‘দুর্যোধন-দুঃশাসন’ বিতর্কে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ, ওয়াকআউট বিজেপির