গেরুয়া শিবিরে ভাঙ্গন ধরাচ্ছেন কুণাল! তড়িঘড়ি কেন নন্দীগ্রামে শুভেন্দু

নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন কুণাল ঘোষ। আর তারপরেই নেমে পড়েছেন মাঠে। কুণাল ঘোষ পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্ব নিতেই শুভেন্দু গড়ে শুরু হয়েছে ভাঙন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী কুণালের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দান করেছেন। তার কয়েক ঘন্টা কাটতে না কাটতেই নন্দীগ্রামে ফিরলেন এলাকার বিধায়ক শুভেন্দু। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি কুণালের কর্মসূচি গেরুয়া শিবিরে বড় ভাঙনের পথ খুলে দিল, আর তা আটকাতেই শুভেন্দু তড়িঘড়ি নন্দীগ্রামে গেলেন?

নন্দীগ্রামে ফিরে এসে শুভেন্দু যে বৈঠক করেছেন, তা স্বীকার করছেন বিজেপির নন্দীগ্রাম বিধানসভা কমিটির আহ্বায়ক মেঘনাদ পাল। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল শনিবার বলেন, ‘‘বিজেপি থেকে যাঁরা তৃণমূলে এসেছেন, তাঁরা তো পার্টি অফিসটাও বদলে দিয়েছেন। ভাঙন আর ঠেকাবেন কী করে? শুভেন্দু একটু অপেক্ষা করুন। গোটা জেলায় যাঁদের ভুল বুঝিয়ে বিজেপিতে নিয়ে গিয়েছিলেন, সবাই ফিরে আসছেন।’’

সাংগঠনিক দায়িত্ব পেয়ে কুণাল যে দিন পূর্ব মেদিনীপুরে এলেন, সে দিনই নন্দীগ্রামের দুই পুরনো বিজেপি নেতা জয়দেব দাস ও বটকৃষ্ণ দাস দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তাঁরা তমলুকে কুণালের সঙ্গে দেখাও করেন। এর পরেই তাঁদের তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। কুণাল বলেন,  প্রায় ৫০০ জন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন। দলের তরফে ৩৩ জনের তালিকা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: মোদির গড়েও ‘কাটমানি’? সেতু বিপর্যয় ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ

দলবদলের পরেই দলীয় কর্মীদের নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপরেই দলত্যাগের বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শুভেন্দু।