ইউ এন লাইভ নিউজ: রাজ্য সরকার-রাজ্যপাল জট ক্রমশ বেড়েই চলেছে। উপনির্বাচনে জয়ী দুই তৃণমূল বিধায়কের শপথ গ্রহণ নিয়ে জট কাটছেই না কোনভাবে। মঙ্গলের পর বুধবারেও শপথ নিয়ে বিতর্ক বজায় রইল। রাজভবন অবস্থানে অনড় থাকায় বুধবার দুপুরে বিধানসভায় ধরনায় বসলেন বরানগর এবং ভগবানগোলার বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেন সরকার। তাঁদের সঙ্গে ধরনায় যোগ দেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও।
‘শপথ গ্রহণের জন্য মাননীয় রাজ্যপালের অপেক্ষায় রয়েছি’, লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে বিধানসভার সিঁড়িতে ধরনায় বসেন সায়ন্তিকারা। বিধানসভায় যখন তাঁরা ধরনায় তখন রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলের আগেই দিল্লি রওনা হতে পারেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবারই রাজভবন জানিয়েছিল, বুধবার সায়ন্তিকা-রায়াতের জন্য রাজভবনে শপথগ্রহণের সবরকম ব্যবস্থা থাকবে। তাঁরা সেখানে গিয়ে শপথ নিতে পারেন। কিন্তু তৃণমূলের দুই জয়ী প্রার্থী সাফ জানিয়ে দেন, রাজভবনে কোনওমতে তাঁরা যাবেন না। বিধানসভাতেই তাঁরা শপথ নেবেন।
সংঘাতের মধ্যেই বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় এদিন বলেছেন, ‘সংবিধানের স্রষ্টা বি আর আম্বেদকর বলেছিলেন, মধ্য মেয়াদে কেউ যদি বিধায়ক হন তা হলে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন স্পিকার।’ বিমানের কথায়, যে জটিলতা তৈরি হয়েছে তা কাটানোর জন্য আইন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির কাছেও তিনি যাবেন। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সায়ন্তিকা এবং রায়াতের শপথ গ্রহণ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়।
রাজ্যপালের ইচ্ছা, তাঁরা রাজভবনে এসে শপথ নেবেন। কিন্তু সায়ন্তিকাদের দাবি, তাঁরা রাজভবনে যাবেন না। কারণ রাজভবন তাঁদের ভবিষ্যতের কাজের জায়গা নয়। আর রাজভবন থেকে বিধানসভার স্পিকারকে অপমান করা হয়েছে। তাই তাঁরা রাজভবনে যাবেন না। এর আগে ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূলের নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথ নিয়েও একই রকম জটিলতা তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি শপথ নিয়েছিলেন রাজভবনে গিয়েই। সায়ন্তিকারা শেষপর্যন্ত কী করেন এখন সেটাই দেখার।
Leave a Reply